মনোজিতের মতোই নরসিংহ কলেজে সৌভিক রায়ের দাদাগিরির অভিযোগ

সম্প্রতি কসবা ল’ কলেজে ধর্ষণ কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার (Narasinha Dutt College)  পর গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত হিসেবে যিনি উঠে এসেছেন, তিনি মনোজিত্‍…

Freshers Stripped and Tortured: Student Leaders' Bullying in Howrah's Narasinha Dutt College Exposed"

সম্প্রতি কসবা ল’ কলেজে ধর্ষণ কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার (Narasinha Dutt College)  পর গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত হিসেবে যিনি উঠে এসেছেন, তিনি মনোজিত্‍ মিশ্র, এক সময়ের তৃণমূল ছাত্র নেতা এবং ওই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। এই ঘটনাটি রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলে দিয়েছে। তার সঙ্গে আবার উঠে এসেছে এক নতুন বিতর্ক, যা হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজের এক কুখ্যাত র‌্যাগিং কাণ্ড।(Narasinha Dutt College)  

ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। অভিযোগ উঠেছিল, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সৌভিক রায় কলেজের ইউনিয়ন রুমে নবাগত ছাত্রদের র‌্যাগিং করেছিল। শুধু র‌্যাগিং নয়, ছাত্রদের অশ্লীলভাবে শারীরিকভাবে অপমান করা হয় এবং তার ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে পরবর্তীতে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এই অমানবিক কাণ্ডটি নিয়ে হইচই পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। বিশেষ করে, যখন বিষয়টি জনসমক্ষে আসে, তখন প্রশাসন এবং ছাত্র রাজনীতির জগতে এক নতুন বিতর্কের সূচনা হয়।(Narasinha Dutt College)  

   

ঘটনার পর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তৎকালীন সভাপতি সৌরভ প্রসাদ এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি জানান যে অভিযুক্ত সৌভিক রায়ের বিরুদ্ধে গুরুতর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সৌরভ প্রসাদ অভিযোগ করেন, রাজ্যের কলেজগুলিতে শিক্ষার মান তলানিতে পৌঁছেছে এবং এসবের মূল কারণ হল ছাত্র রাজনীতি এবং প্রশাসনিক অকার্যকারিতা। তিনি বলেন, “রাজ্যের কলেজগুলিতে শিক্ষার গুণগত মান দিনকে দিন অবনতি ঘটছে। ছাত্ররা নিরাপদ নন, তাদের অপমানিত হতে হচ্ছে, আর তারপরে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”(Narasinha Dutt College)  

এই বক্তব্যের পরও সৌভিক রায়ের বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যা পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র রাজনীতির অন্ধকার দিকের একটি প্রমাণ। সেই সময়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদও এক ধরনের নীরবতা দেখায়, যেন এই ধরনের ঘটনা তাদের কাছে স্বাভাবিক

হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজের এই কাণ্ডটি শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি(Narasinha Dutt College)  এবং অনৈতিকতা এর দিকে আবারও তীর রাখে। যেখানে, ছাত্র রাজনীতি আর ছাত্রদের স্বার্থ মিশে গিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক এবং মানসিক নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। কলেজগুলোতে শিক্ষার পরিবেশের পরিবর্তে এই ধরনের ঘটনা ছড়িয়ে পড়া কতটা ক্ষতিকর, তা ভাবা উচিত।(Narasinha Dutt College)  

Advertisements

কলেজের শিক্ষকরা এবং প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ যদি সময়ে সময়ে এই ধরনের ঘটনা রোধে উদ্যোগী না হয়, তবে দিন দিন এই ধরনের কাণ্ডের সংখ্যা বাড়বে এবং ছাত্রদের উপর এর খারাপ প্রভাব পড়বে। এছাড়া, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা অন্য ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে ক্ষমতার খেলা এবং তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কখনও কখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি করে, যার ফলাফল শুধুমাত্র ছাত্রদেরই ভোগ করতে হয়।(Narasinha Dutt College)  

বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ শুধু শিক্ষা দানের স্থান নয়, এটি ছাত্রদের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। যেখানে তাদের সুষ্ঠু পরিবেশ, শিক্ষা এবং মানবিক মূল্যবোধ শেখানো উচিত। কিন্তু যখন দাদাগিরি, র‌্যাগিং এবং ক্ষমতার অপব্যবহার শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রভাব ফেলে, তখন সেটা পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে(Narasinha Dutt College)  তোলে।

এখন, প্রয়োজন শুধু অভিযুক্তদের শাস্তি নয়, বরং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করার জন্য একটি সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তবে কি ভাবে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে, তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়ে গেছে। প্রশাসনের নীরবতা, ছাত্র সংগঠনগুলির ক্ষমতার খেলা, এবং রাজনৈতিক প্রভাবগুলির অমিমাংসিত সমস্যা রাজ্যব্যাপী শিক্ষার মানকে নিরবচ্ছিন্ন ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।(Narasinha Dutt College)  

অবশেষে, আসল প্রশ্ন হল, কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে? উত্তরটা হয়তো অনেক গভীরে, তবে শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক প্রভাব এবং প্রশাসনিক গাফিলতির মাঝে কোথাও আমাদের মনোযোগী হতে হবে। সতর্কতা এবং শৃঙ্খলা না আসলে, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা এই অন্ধকার দিক থেকে কখনই বেরিয়ে আসবে না।(Narasinha Dutt College)