জেলবন্দি পার্থর পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল ‘মমতার পুলিশ’!

তারাতলায় বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছিল। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভাঙা হল বেহালা পশ্চিমের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)…

তারাতলায় বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছিল। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভাঙা হল বেহালা পশ্চিমের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) অফিস। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলে রয়েছেন পার্থ (Partha Chatterjee)। একটা সময় পার্থ নিয়মিত ওই অফিসে হাজির হলেও তিনি জেলে যাওয়ার পর থেকে তৃণমূল কর্মীরাই সেখানে থাকতেন।

দিন কয়েক আগে একটি সংবাদ মাধ্যমে দেখানো হয়েছিল, বেহালা ম্যান্টন এলাকায় ফুটপাতের ওপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি পার্টি অফিস রয়েছে। এরপরই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা সেই অফিসটি সরানোর উদ্যোগ নেন। বৃহস্পতিবার থেকেই জোরকদমে কাজ শুরু হয়ে যায়। শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অস্থায়ী অফিস ভেঙে দেয় পুলিশ।

   

এলাকার এক তৃণমূল কর্মী বলেন, একটা সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখানে বসতেন। পরে আমরা তৃণমূল কর্মীরাই তা ব্যবহার করি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুটপাথ দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর কথা মতোই আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাস্তার ওপর থাকা অন্য পার্টির অফিসগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিক পুলিশ।

মমতার নির্দেশে ‘দখলমুক্তি’, ছোট ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ রুখে নায়ক বাম কাউন্সিলর

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও পুরসভা। দোকান সহ ফুটপাতে গড়ে ওঠা সমস্ত অবৈধ নির্মাণ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তারাতলায় উচ্ছেদ অভিযানে নামে পুলিশ। সেখানেই রাস্তার উপরে থাকা বিজেপির পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বুলডোজার চালানো হয়।

এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির অভিযোগ, কলকাতা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা, সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস গড়ে তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেগুলি বহাল তবিয়তে রয়েছে। বেছে বেছে বিজেপির পার্টি অফিসগুলি ভাঙা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন একাধিক কর্মী-সমর্থক।

‘কপালটাই খারাপ’,বিধানসভার সিঁড়িতে বসে কপাল চাপড়াচ্ছেন সায়ন্তিকা

এদিকে বচসা চলার সময় একাধিক বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বন্দরের জমিতে পার্টি অফিসটি তৈরি হয়েছিল। বেআইনি নির্মাণের মধ্যে এটি পড়ে বলে দাবি করেছে পুলিশ। সেই কারণেই তা ভাঙা হয়েছে। যদিও এলাকার বিজেপি কর্মীরা বলছেন, পার্টি অফিসটি দীর্ঘদিন ধরেই আছে। এটি কোনওভাবেই অবৈধ নির্মাণ নয়। পুলিশ জোর করে এটি ভেঙেছে।

দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুটপাত জবরদখল নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপরই মাঠে নামে পুলিশ ও পুরসভা। গত তিনদিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলছে বেআইনি উচ্ছেদ অভিযান। তা নিয়ে অল্পবিস্তর ঝামেলাও হচ্ছে। এদিকে গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে আপাতত এক মাস বন্ধ উচ্ছেদ অভিযান রাখার কথা জানান মমতা।

উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হতে পারেন বিজেপি সাংসদ! জোর জল্পনা