তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে ১২ অগস্ট বন্ধ থাকবে পরিষেবা

আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে সমগ্র বাংলা। হাসপাতাল বন্ধ রেখে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজার…

Rg kar medical college

আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে সমগ্র বাংলা। হাসপাতাল বন্ধ রেখে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার চিকিৎসক। সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন, সকলের নিরাপত্তা কোথায়? কল্কলাতা সহ বাংলার জেলায় জেলায় বিক্ষোভের পথে পা বাড়িয়েছেন সকলে। ইতিমধ্যে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষজন। তবে এই বিক্ষোভ এখন শুধু বাংলাতেই নয়, সমগ্র দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। সরব হল FORDA-ও।

এবার এই ঘটনায় চিঠি লিখল ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (FORDA) একটি চিঠি জারি করেছে। এই চিঠিতে সাফ সাফ বলা হয়েছে, আগামীকাল সোমবার ১২ অগস্ট আর জি কর মেডিকেল কলেজের আবাসিকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশব্যাপী হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হল।

   

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণের পর এক মহিলা স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ (পিজিটি) চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের পর নির্যাতিতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি জানান, “এটা অবশ্যই আত্মহত্যার ঘটনা নয়। যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হয় ওই মহিলাকে।” এদিকে চার পাতার একটি রিপোর্ট সাফ সাফ উল্লেখ করা হয়েছে, ওই মহিলা চিকিৎসকের গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল এবং শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এমনকি চোখে, মুখে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল।

পোস্টমার্টেম রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মৃতার চোখ ও মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, মুখে ও নখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকেও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার পেট, বাম পা, … ঘাড়, ডান হাত, অনামিকা আঙ্গুলেও চোট ছিল।’ কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভোর তিনটে থেকে সকাল ছ’টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।