আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান শ্রীরামপুরের

হাতেগোনা আর কিছুদিন। তারপরেই শুরু হতে চলেছে বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবার আর বাঙালির প্রিয় উৎসবের জৌলুস সেভাবে চোখে পড়ছে না। আর…

mamata banerjee says 85 thousand rupees will be given to pujo committees, আরও দরাজ মমতা, এবার পুজো অনুদান বেড়ে ৮৫ হাজার টাকা

short-samachar

হাতেগোনা আর কিছুদিন। তারপরেই শুরু হতে চলেছে বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবার আর বাঙালির প্রিয় উৎসবের জৌলুস সেভাবে চোখে পড়ছে না। আর এর নেপথ্যে রয়েছে আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা (RG Kar Protest)। আর এই ঘটনাকে সামনে রেখে এবার দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফেরাতে শুরু করেছে একের পর এক ক্লাব।

   

প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম সামনে আসেনি। আর তাই এই নৃশংস ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবি ও দোষীদের চরম শাস্তির দাবিতে দিকে দিকে পথে নামছে মানুষ। এমন আবহে অনেক ক্লাবই এই ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফেরানোর পথে হাঁটতে শুরু করেছেন।

উত্তরপাড়া ও কোন্নগরের পর এবার সেই দলে নাম লেখাল বৈদ্যবাটী। এর আগে হুগলির উত্তরপাড়ার তিনটি পূজা কমিটি ও কোন্নগরের একটি পুজো কমিটি সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে। এবার সরকারি অনুদান ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিল হুগলির বৈদ্যবাটির সদগোপপাড়া মহিলা মিলন চক্র। এই পুজো হয়ে থাকে বৈদ্যবাটি পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীরামপুর নগারমোড় এলাকায়।

জানা যাচ্ছে, হুগলির শ্রীরামপুরের মহিলা মিলন চক্র সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়ে মহকুমা শাসককে একটি চিঠি লিখেছে। এমনকি কমিটির প্যাডে লিখে শ্রীরামপুর থানাতেও তাঁরা সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এই পুজো কমিটির সদস্য মহালক্ষ্মী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, আরজি করে যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড হয়েছ, তাঁরা মহিলা হিসেবে সেটার প্রতিবাদ করবেনই। তাঁরা এবার আর সরকারি অনুদান চান না, চান শুধুই বিচার। অন্যদিকে, এই পুজো কমিটির সভাপতি তপতী মুখোপাধ্যায়ও কার্যত একই সুরে কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, “আমরা তো মায়ের জাত।

আমাদের কাছে মেয়ের সুরক্ষা সবথেকে আগে। আমরা মনে করি হাসপাতাল হল সব থেকে নিরাপদ জায়গা। আর সেই হাসপাতালেই যদি এই ধরনের নারকীয় ঘটনা ঘটে একজন মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে, তাহলে তার প্রতিবাদ করতেই হয়।” এর পাশাপাশি তিনি বলেছেন, এবার তাঁরা সরকারের দেওয়া অনুদান গ্রহণ করবেন না। যদি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় তাহলে পরেরবার সরকারি অনুদান তাঁরা নেবেন কিনা সেই বিষয় ভেবে দেখবেন।

প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে চলতি বছরে অনেক ক্লাবই দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফেরাচ্ছেন। এর আগে কলকাতার একটি বড় ক্লাব ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন’, বারাসাতে সরোজিনী পল্লী কল্যাণ সমিতি, বারাসাত কলোনি মোর আসোসিয়েশন, হাইল্যান্ড পার্ক, উত্তরপাড়ার ‘বৌঠান সঙ্ঘ’, ‘উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ’ এবং ‘আপনাদের দুর্গাপুজো’ নাম তিনি ক্লাবের পাশাপাশি আরও ক্লাব এবার দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফিরিয়েছে।