চাকরিচ্যুতির যন্ত্রণা নিয়ে ফের পথে নামলেন রাজ্যের একাংশ চাকরিহারা (Sacked Teacher) যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। রবিবার সকালে(Sacked Teacher) মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনের উদ্দেশ্যে পা বাড়ান তাঁরা। উদ্দেশ্য একটাই— মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের আর্তি পৌঁছে দেওয়া। প্রায় ৫০ জন শিক্ষিকা-কর্মপ্রার্থী(Sacked Teacher) কালীঘাট থানায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আবেদন জানান। পুলিশের তরফে পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দলকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
এই প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অফিসে (Sacked Teacher) একটি সাত দফা দাবি-সহ স্মারকলিপি জমা দেন। যদিও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি তাঁরা, তবে (Sacked Teacher) কথায়, “আশা করি দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) আমাদের কষ্ট বুঝবেন ও দ্রুত আমাদের স্কুলে ফেরার ব্যবস্থা করবেন।”
প্রধান দাবিগুলি কী?
চাকরিচ্যুত শিক্ষিকাদের মূল দাবি,(Sacked Teacher) প্রশাসন যেন অবিলম্বে তাঁদের স্কুলে পুনরায় নিযুক্ত করার ব্যবস্থা করে। অনেকেই একাধিক প্রশাসনিক ও (Sacked Teacher) আইনি জটিলতায় জড়িয়ে স্কুলে ফিরতে পারছেন না। কেউ আবার আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে ঘরে বসে রয়েছেন।
তাঁদের বক্তব্য, “আমরা যোগ্যতাসম্পন্ন। পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছিলাম। কোনও দুর্নীতি ছাড়াই চাকরি পেয়েছিলাম। আজ শুধুমাত্র প্রক্রগত ত্রুটির কারণে আমরা পথে। এটা আমাদের সঙ্গে অবিচার।”
কালীঘাটে শান্তিপূর্ণ উদ্যোগ, অন্যদিকে করণাময়ীতে জারি অবস্থান(Sacked Teacher) যদিও কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর দরজায় স্মারকলিপি দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন তাঁরা, অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আরও অনেক চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা করণাময়ীর(Sacked Teacher) সেন্ট্রাল পার্কের সামনে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সেখানে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড (Sacked Teacher) হাতে নিয়ে তাঁরা দিনের পর দিন বসে আছেন, কিছুই খাচ্ছেন না ঠিকমতো, বৃষ্টিতেও বসে রয়েছেন শুধুমাত্র নিজেদের চাকরি ফেরতের আশায়।
আইনি দিক ও আদালতের নির্দেশ(Sacked Teacher)
এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, এই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ যেন কোনও কড়া পদক্ষেপ না নেয়।(Sacked Teacher) এমনকি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যে শোকজ নোটিস জারি করা হয়েছিল, সেটিও আপাতত কার্যকর করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে আদালতের তরফ থেকে।(Sacked Teacher) এই নির্দেশে আন্দোলনরত(Sacked Teacher) শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে খানিক স্বস্তি ফিরেছে। তাঁরা মনে করছেন, আদালতের এই নির্দেশ তাঁদের আন্দোলনের ন্যায্যতাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
আশা ও প্রতীক্ষা(Sacked Teacher) চাকরি হারিয়ে মানসিক ও আর্থিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা। পরিবার, আত্মীয়, সমাজ— সকলের(Sacked Teacher) কাছেই তাঁরা অপ্রিয় হয়ে উঠছেন বলে অভিযোগ অনেকের।
এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে তাঁদের কষ্টের কথা জানানোর পর তাঁদের মনে আশা জেগেছে।(Sacked Teacher) একজন প্রতিনিধি বলেন, “দিদি নিজেও শিক্ষকতার পটভূমি থেকে এসেছেন। তিনি আমাদের অনুভব করতে পারবেন। আমরা চাই দ্রুত আমাদের স্কুলে ফেরানো হোক।(Sacked Teacher)