হাওড়ায় ভয়াবহু আগুন, দাউ দাউ করে জ্বলছে গুদাম, বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

হাওড়ার বাঁকড়ায় শুক্রবার সকালে চটের বস্তা তৈরির একটি কারখানায় আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঝিলপাড়া এলাকার ওই কারখানাটি চটের বস্তা তৈরি করছিল। সকালে…

Reputed School in Ballygunge Caught Fire, Panic Grips Area

short-samachar

হাওড়ার বাঁকড়ায় শুক্রবার সকালে চটের বস্তা তৈরির একটি কারখানায় আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঝিলপাড়া এলাকার ওই কারখানাটি চটের বস্তা তৈরি করছিল। সকালে কারখানা চালু হওয়ার পর আচমকা আগুন লাগে, এবং কিছুক্ষণের মধ্যে গুদামের বিস্তীর্ণ অংশ দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে।

   

আগুনের তীব্রতায় সেখানকার অনেক বস্তা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগুনের খবর পাওয়ার পর অনেকেই দমকল বাহিনীর সাহায্যে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। প্রথমে কারখানার ভেতরে প্রচুর পরিমাণে চটের বস্তা মজুত ছিল, যার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যদিও শ্রমিকরা সময়মতো আগুন দেখে নিরাপদ জায়গায় চলে আসেন, তাই কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে তিনটি ইঞ্জিন পাঠায়। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। যদিও আগুন নিভে গিয়েছে, কিন্তু এখনও ধোঁয়া ছড়াচ্ছে এলাকায়। চারপাশে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছিল, যা এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। বাঁকড়া একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায়, সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনা হলে তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারত।

আগুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। দমকলের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হবে। অগ্নিকাণ্ডের সময় পুরো কারখানা ও গুদামটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনও কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

এই ধরনের ঘটনা এলাকার মানুষজনের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত যখন এমন ধরনের কারখানার মধ্যে বিপুল পরিমাণে দাহ্য উপাদান থাকে, তখন আগুন লাগলে তা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। এ কারণে এলাকাবাসীরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে নিরাপত্তার আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এছাড়াও, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দিকে আরও নজর দেওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া, শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।

অগ্নিকাণ্ডের পর, এই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি, প্রশাসনও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সতর্কতার বার্তা দিয়েছে, এবং কারখানাগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়মগুলি আরও কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।