Fire Breakout: সন্তোষপুর স্টেশনে আগুন, শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল

সাতসকালে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা (Fire Breakout) ঘটল কলকাতার বজবজ শিয়ালদহ শাখায়। এটি এমন একটি এলাকা, যেখানে সাধারণত সকালবেলা অফিসযাত্রীদের ভিড় থাকে। শনিবার সকাল ৬টা ৪৫…

Fire Breakout: Santoshpur Station Blaze Causes Suspension of Train Services on Sealdah-Budge Budge Line

short-samachar

সাতসকালে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা (Fire Breakout) ঘটল কলকাতার বজবজ শিয়ালদহ শাখায়। এটি এমন একটি এলাকা, যেখানে সাধারণত সকালবেলা অফিসযাত্রীদের ভিড় থাকে। শনিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সন্তোষপুর স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মের কাছে প্রথম একটি দোকানে আগুন দেখা যায়। প্রথমে তা একটি ছোট দোকানে লাগলেও, চোখের পলকেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের অন্যান্য দোকানগুলিতে। প্রায় ২০টি দোকান আগুনে পুড়ে যায় এবং কার্যত ছাই হয়ে যায়।

   

এলাকার বাসিন্দারা জানান, আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্টেশনে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। প্রায় একই সময়, অফিস যাওয়ার জন্য স্টেশনে ভিড় জমেছিল। আগুনের লেলিহান শিখা এবং কালো ধোঁয়ার কারণে পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। স্টেশন চত্ত্বরে তখন দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়, আতঙ্কিত যাত্রীরা এই দিক-সেইক চিৎকার করতে থাকেন। কিছু সময়ের মধ্যেই আগুনের খবর দমকল কর্মীদের কাছে পৌঁছায়। তবে তার আগে এলাকার বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তারা বালতি করে জল ঢালতে শুরু করেন, তবে তা খুব একটা কার্যকর হয়নি।

খবর পাওয়ার পর দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ঘটনাস্থলে তিনটি দমকল ইঞ্জিন আসে। দমকল কর্মীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। যদিও তখন পর্যন্ত পুরো এলাকা কালো ধোঁয়া এবং তীব্র কটূ গন্ধে ভরে গেছে। এই পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে, প্রায় কিছুক্ষণের জন্য ওই লাইন দিয়ে কোনও লোকাল ট্রেন চলতে পারেনি। এর ফলে অন্যান্য স্টেশনেও যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণে ট্রেন চলাচল স্থগিত হয়ে যায়, যার ফলে বেশ কিছু সময় ধরে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। স্টেশনে ছুটে আসা অফিসযাত্রীরা, যারা কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য রোজকার ট্রেনে চড়েন, তারা এক ধরনের শারীরিক এবং মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন। তবে, দমকল কর্মীদের তৎপরতায় প্রায় দেড় ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে এবং ট্রেন চলাচল আবার শুরু হয়।

তবে আগুনের কারণ নিয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। বেশ কিছু দোকান মালিক এবং স্থানীয়রা নিজেদের ক্ষতির কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে, কেউ কেউ মনে করছেন যে, এটি কোনও দুর্ঘটনা হতে পারে বা শখের কিছু কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে। পুলিশের তদন্তের পর এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। দোকানগুলির পাশে অবস্থিত বিদ্যুতের তারগুলো কিংবা সিগারেটের ছুঁড়ে ফেলা গুলি—এসব কিছু আগুন লাগার কারণ হতে পারে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সেজন্য দমকল ও স্থানীয় প্রশাসনের আরও সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন।

এমন ভয়াবহ ঘটনার পর এলাকা এবং স্টেশন চত্ত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও উন্নত পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি।