মুদির দোকানের আড়ালে চলছিল ভয়ানক কাণ্ড, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও

মুদির দোকানের আড়ালে চুপিসারে চলছিল অবৈধ কাজ। দিনের পর দিন মুদি এবং সবজির দোকানের লাইসেন্স নিয়ে অন্য কাজ করেছিলেন ওই দোকানের মালিক। গোপন সূত্রে খবর…

Kolkata Police Files Chargesheet Against Shanta Pal in Major Action

মুদির দোকানের আড়ালে চুপিসারে চলছিল অবৈধ কাজ। দিনের পর দিন মুদি এবং সবজির দোকানের লাইসেন্স নিয়ে অন্য কাজ করেছিলেন ওই দোকানের মালিক। গোপন সূত্রে খবর গিয়ে লালবাজাবের বিশেষ গোয়েন্দা শাখা গ্রেফতার করেছে ওই দোকানের মালিককে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই দোকানের মালিক মুদি এবং সবজির দোকানের আড়ালে ভুয়ো কল সেন্টার চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় ওই কল সেন্টার থেকে প্রচুর গ্রাহকের থেকে টাকা চাওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

Advertisements

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ঐ ব্যক্তির নাম অসীম দত্ত। মধ্য কলকাতার বউবাজার থানা অঞ্চলে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পান লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার আধিকারিকরা। কল সেন্টারে কর্মরত সাতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের থেকে জানা গিয়েছে যে, তারা বিভিন্ন লোকদের ফোন করে বিভিন্ন রকম টোপ দিত। তাদেরকে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর প্রস্তাবসহ আরও ভুয়ো টোপ দেওয়া হত।

   

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ওই দোকানের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত চালাচ্ছে লালাবাজারের গোয়েন্দা শাখা। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে কখনও পুরনো বিমা নবীকরণের নামেও চলত জালিয়াতি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাকে ফোন করা হত, তিনি রাজি হয়ে গেলে তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা চাওয়া হত। ওই টাকা নেওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিত জালিয়াতরা। এই চক্র জাল বিস্তার করেছিল বাইরের রাজ্যেও।

অবশেষে বুধবার সন্ধ্যাবেলায় গোয়েন্দারা গ্রেফতার করে অসীমকে। তাঁরা জানতে চেষ্টা করছে কীভাবে অসীম মুদি এবং সবজির দোকানের লাইসেন্স জোগাড় করেছিল। শুধু তাই নয় প্রতারিতদের সংখ্যা জানার চেষ্টা করছে লালবাজার।