শান্তনু সেনের (Shantanu Sen) এই বহিষ্কার (Expulsion) রাজ্য রাজনীতিতে আরও এক নতুন মোড় নিয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন, যা তার দলীয় সম্পর্ককে চরমভাবে প্রভাবিত করেছে। সরকারের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগে যখন তিনি শাসক দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন, তখন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস তাকে একে একে নানা পদ থেকে সরিয়ে দিতে শুরু করে।
তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে অপসারণের পর, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের (Medical Council) সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার (Expulsion) হওয়া তাঁর জন্য বড় ধাক্কা। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায় তাঁর অনুপস্থিতির জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে, এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে, কারণ সুদীপ্ত রায় নিজেও তৃণমূলের বিধায়ক এবং শান্তনু সেনের বিরোধী শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের মতভেদ রয়েছে, যা এই ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হয়েছে।
শান্তনু সেন একসময় তৃণমূলের শক্তিশালী নেতা ছিলেন, বিশেষ করে চিকিৎসক সংগঠনের ক্ষেত্রে তার প্রভাব ছিল ব্যাপক। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডের পর তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে। শান্তনু সেনের সরকারবিরোধী অবস্থান তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে এবং তার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে।
এছাড়া, শাসক দলের বিরুদ্ধে তার অবস্থান নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিস্তর আলোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, শান্তনু সেনের বহিষ্কার রাজ্য রাজনীতিতে একটি সতর্ক বার্তা হিসাবে দেখা যেতে পারে, যাতে দলের অন্য সদস্যরা কোনও ধরনের বিরোধিতা করতে সাহস না পায়।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে শান্তনু সেনের বহিষ্কার হওয়ার পর তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে যে, শান্তনু সেনের এই বিরোধী মনোভাব তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং শান্তনু সেনের সঙ্গে তার সম্পর্ক এখন আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
এখন প্রশ্ন হল, রাজনৈতিকভাবে শান্তনু সেন পরবর্তী সময়ে কি তার অবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন, নাকি তার বিরোধী ভূমিকা তাকে দলের অঙ্গনে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।