Environment: কেড়ে নেওয়া যাবে না হাওড়ার ফুসফুস, ডুমুরজলা বাঁচাতে এবার মানব বন্ধন

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: খেলনগরীর তলায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে হাওড়ার ফুসফুসকে। ডুমুরজলা নিয়ে এমনই প্রতিবাদে নেমেছিল হাওড়ার মাঠ প্রেমীরা। আগে হয়েছিল মিছিল , এবার হবে মানব…

Human bond movement to save Dumurjala

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: খেলনগরীর তলায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে হাওড়ার ফুসফুসকে। ডুমুরজলা নিয়ে এমনই প্রতিবাদে নেমেছিল হাওড়ার মাঠ প্রেমীরা। আগে হয়েছিল মিছিল , এবার হবে মানব বন্ধন। তাঁরা বলছেন , জানেন লড়াই অসম। তবু হাওড়ার ফুসফুস বাঁচাতে তাঁরা লড়াই করবেন। কেড়ে নেওয়া যাবে না হাওড়াবাসীর অক্সিজেনের ভান্ডার। তাই এবার হাওড়া ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে বিকেল চারটের সময় মাঠপ্রেমীরা গড়বেন মানব বন্ধন। সৌজন্যে সেভ ডুমুরজলা জয়েন্ট ফোরাম। হবে মাঠ বাঁচানোর দাবিতে প্রতিবাদ।

সংগঠনের এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘অনেকদিন ধরে মুষ্টিমেয় মানুষের লড়াই দেখে চলেছি। কি আশ্চর্য রকম চুপ নেতা মন্ত্রী আমলারা! হাওড়া শহর নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আনাচে কানাচে এখনও বাংলা ভাষা শোনা যায়, এই অনেক। কিন্তু রবীন্দ্র সরোবর আর ডুমুরজলার মধ্যে আয়তন ছাড়া তফাৎ বিশেষ নেই। যেকোনো ওয়েটল্যান্ড ইকোসিস্টেম শহরের ফুসফুসের কাজ করে।

   

Human bond movement to save Dumurjala

ডুমুরজলা হাওড়ার বৃষ্টির অতিরিক্ত জলের আধার হিসেবে কাজ করে। কিছু পরিযায়ী পাখির বিশ্রামের জায়গাও বটে। অনেক পুরনো গাছের বাসস্থান। যেখানে সমতলের ফরেস্ট কাভার হওয়া উচিত তার ভৌগলিক ক্ষেত্রের ৩৩ শতাংশ, পাহাড়ি এলাকায় ৪৫ শতাংশ; সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ফরেস্ট কাভার ১৯ শতাংশ, ভারতের ২১ শতাংশ। হাওড়ার ফরেস্ট কাভার অবশ্যই কলকাতার থেকে অনেক বেশি। কিন্তু সেটা আরবান হাওড়া না। এবং তার ঘনত্বও বেশি না। গত পাঁচ বছরে ফরেস্ট কাভার আরো কমেছে। শহরের বড়ো গাছ প্রচুর কাটা পড়ছে। আজ এই মুহূর্তে হাওড়ার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৩৪৫। নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে সেই আশ্চর্যের।’

তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘হিডকো একদিকে নিউটাউনে আরবান ফরেস্ট গড়ে তুলতে চাইছে, অন্যদিকে শহর হাওড়ার ইকোসিস্টেম শেষ করে দিচ্ছে। শুধু তো প্রাকৃতিক পরিবেশ না। মানুষের সামান্যতম বিনোদন, কমিউনিটির স্পিরিট সবকিছু প্রশ্নের মুখে। হাওড়া নিয়ে কোনো খবর হয় না। একটা সীমান্ত শহরের মত ধীরে ধীরে ক্ষয়ে চলেছে। শিল্পশহর বলেও আর তেমন পরিচয় নেই। বেশ মজার ব্যাপার। অনিচ্ছুকের ৪০০ একরের অজুহাতে শিল্প ধ্বংস করে আসা ক্ষমতার গভর্নেন্স এর উদাহরণ ৫৫ একরের এমন গুরুত্বপূর্ণ ইকোসিস্টেম ধ্বংস করে খেল নগরী! জানি অসম যুদ্ধ। তবু এক্সপ্রেশন এর এই আপাত স্বাধীন পরিসরটুকু ব্যবহার করেই ফেললাম।’

প্রসঙ্গত, ডুমুরজলা থাক ডুমুরজলাতেই এই দাবিতে গণ কনভেনশন হয়েছিল হাওড়ার ডুমুরজলায়। হাওড়ার ফুসফুস নামে পরিচিত এই ডুমুরজলা মাঠ। প্রতিদিন বহু মানুষ এখানে আসেন মর্নিং ওয়াকে, ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল খেলতে । সাধারণ মানুষের দাবী, সেখানে প্রায় ৫৫ একর জমিতে স্পোর্টস কমপ্লেক্স গঠিত হলে থাকবে না মানুষের অবাধ যাতায়াত। পাশাপাশি ধ্বংস হবে সেখানকার বাস্তুতন্ত্রও।

গত রবিবার সকালে ডুমুরজলা মাঠের সবুজায়নকে রক্ষা করতে বহু ক্রীড়াপ্রেমী স্থানীয় মানুষ, ও পরিবেশপ্রেমী অংশগ্রহণ করেছিলেন এই গণকনভেনশনে । এই গণকনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার ১৯৯৫ সালে সাফ গেমস সোনাজয়ী দলের অন্যতম সদস্য রঞ্জন দে , বিশিষ্ট আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সহ বহু সাধারণ মানুষ ।