কলকাতায় অষ্টম আশ্চর্য, হার মানবে দিল্লির লৌহ স্তম্ভ!

কুতুব মিনারের পতন ঘটিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করবে হাওড়ার “নজর মিনার”। কলকাতার কাছেই হাওড়ার বেলিলিয়াস পার্কের কাছে গড়ে উঠছে এক অনন্য স্থাপনা, যা ইতিমধ্যেই আলোচনায়…

Eight Wonders like to estabilsh in Kollata which is longer than Qutab Minar

কুতুব মিনারের পতন ঘটিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করবে হাওড়ার “নজর মিনার”। কলকাতার কাছেই হাওড়ার বেলিলিয়াস পার্কের কাছে গড়ে উঠছে এক অনন্য স্থাপনা, যা ইতিমধ্যেই আলোচনায় এসেছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে খুবই কাছে, ডুমুরজলা ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ে এবং হাওড়া ময়দানকে সংযুক্ত করতে নির্মিত হচ্ছে এই দৃষ্টিনন্দন টাওয়ার। এটি শুধু উচ্চতায়ই নয়, তার আধুনিকতা ও নির্মাণশৈলীতেও শহরবাসীকে বিস্মিত করবে।

এই মিনারের উচ্চতা কত?

kolkata24x7-sports-News

   

হাওড়ার নজর মিনারের উচ্চতা প্রায় ১২০ মিটার। তুলনায় কুতুব মিনার থেকে প্রায় ৩৮ মিটার বেশি উঁচু। নিউটাউনের বিশ্ববাংলা গেটের দ্বিগুণ উচ্চতা এবং কলকাতার শহিদ মিনারের থেকেও দীর্ঘ এই টাওয়ারটি নিশ্চিতভাবেই শহরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠবে।

কারা ডিজাইন করছে?

এই নজর মিনারের ডিজাইন করেছে আইআইইএসটি শিবপুর, যারা তাদের গবেষণা এবং উন্নয়নমূলক কাজে পরিচিত। একটি বেসরকারি গ্রুপ এই টাওয়ারটির নির্মাণের দায়িত্বে আছে এবং হাওড়া পুরনিগম এর সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করছে।

যতটা চমকপ্রদ ততটাই আধুনিক

জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, মিনারের প্রায় ১১২ মিটার উচ্চতায় থাকবে একটি পর্যবেক্ষণ মঞ্চ। এখানে প্রায় ২ হাজার স্কোয়ার ফুট মেঝে থাকবে, যেখানে একসাথে ২০০ জন ব্যক্তি বসে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। অত্যাধুনিক টেলিস্কোপের সাহায্যে একাধিক দর্শক একই সময় কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল যেমন নিউটাউন, সল্টলেক, কলকাতা বিমানবন্দর, হুগলি এবং হাওড়া বিস্তীর্ণ এলাকা দেখতে পারবেন। এমন পর্যবেক্ষণের সুযোগ শহরের বাসিন্দাদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

এছাড়াও, এই পর্যবেক্ষণ মঞ্চের নীচে থাকবে একটি রেস্তরাঁ যেখানে দর্শকরা খাওয়াদাওয়ার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। রেস্তরাঁটি প্রায় ১০৪ মিটার উচ্চতায় হবে এবং এতে থাকবে এক বিরাট ব্যাঙ্কোয়েট হলও। বিশেষভাবে নির্মিত দুটি ডেক, একটি ২৫ মিটার উচ্চতায় এবং অন্যটি ৫০ মিটার উচ্চতায়, এই টাওয়ারের আরও আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।

এলিভেটর দিয়ে ওঠা যাবে!

এই উচ্চ টাওয়ারে ওঠার জন্য দুটি হাইস্পিড এলিভেটর থাকবে, যা প্রতি সেকেন্ডে তিন মিটার গতিতে চলবে। একবারে ১৫ জন করে মানুষের উঠানামার সুবিধা থাকবে। এলিভেটরগুলি দ্রুতগতিতে টাওয়ারের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছাতে সাহায্য করবে, যেখানে দর্শকরা রেস্তরাঁ, ব্যাঙ্কোয়েট হল এবং পর্যবেক্ষণ মঞ্চে যেতে পারবেন।

নির্মাণের শক্তি এবং সুরক্ষা

এই টাওয়ারটি অত্যন্ত শক্তপোক্তভাবে তৈরি করা হচ্ছে এবং এটি ভূমিকম্প প্রতিরোধী। মিনারের নির্মাণে প্রায় ১৪০০ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। মাটির নীচে ৩৫ মিটার গভীর পাইলিং করা হয়েছে, যা মজবুত ভিত্তি প্রদান করবে। এর পরিধি প্রায় ৪০ মিটার এবং সবচেয়ে উঁচু স্তরের ডেকের পরিধি ২২ মিটার। বিশেষভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে এই টাওয়ার নির্মাণের কাজ চলেছে।

এই নজর মিনার কেবল এক অবকাঠামোগত কাঠামো নয়, এটি হাওড়া এবং কলকাতার মানুষের জন্য এক নতুন চমক। একটি বিশ্বমানের স্থাপনা, যা শহরের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যকে আরও উজ্জ্বল করবে।