ওএমআর শিট প্রকাশের দাবিতে আজ থেকে অনশনে বসলেন আট চাকরিহারা। বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা অনশন শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদেরকে সহযোগিতা করবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ হল সরকারী কর্মচারীদের একটি সংগঠন, যারা দীর্ঘদিন ধরে ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরেই এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু দেখা গিয়েছে ২০১৬ সালে পাঁচ হাজারের কিছু বেশী প্রার্থী অযোগ্য।তাই তাঁদের ওএমআর শিট প্রকাশ করলেই যোগ্য এবং অযোগ্যদের চিহ্নিত করা যায়। সেই দাবিতেই আজ বেলা ১২টা থেকে অনশনে বসেছেন আট চাকরিহারা।
ওই শিক্ষকদের মতে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের রায়ের জন্য দায়ী স্কুল সার্ভিস কমিশন।তাঁদেরআরও দাবি, নবম-দশম শ্রেণির জন্য নিযুক্ত শিক্ষকেরা তাঁদের ওএমআর শিট পেলেও একাদশ-দ্বাদশের জন্য নিযুক্ত শিক্ষক এবং গ্রুপ-সি পদের কর্মীরা তাঁদের ওএমআর পাননি। এই জন্য এসএসসিকে নিয়োগ প্যানেলের প্রত্যেকের ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত ওএমআর শিট প্রকাশ হবে ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত কোর্টের নির্দেশে এক ধাক্কায় চাকরি বাতিল হয়েছে ২৬ হাজার জনের। শুধু তাই নয় অযোগ্যদের ফেরত দিতে বলা হয়েছে বেতন। সেই বেতনের সঙ্গে ১২ শতাংশ সুদও দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দারস্থ হয়েছে এসএসসি। তবে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি এখনও বিচারাধীন। আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে।