শীতের শুরুতেই সবজির পাশাপাশি ডিমের দাম শুনে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

শীতের মরসুমে আলু, পেঁয়াজ, রসুনের পর এবার ডিমের দামও (Egg Price) বাড়তে শুরু করেছে, যা বাজারে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক সপ্তাহের…

Egg Prices Surge Again in West Bengal Amid Winter; Here's Why

শীতের মরসুমে আলু, পেঁয়াজ, রসুনের পর এবার ডিমের দামও (Egg Price) বাড়তে শুরু করেছে, যা বাজারে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে হুহু করে বেড়ে গেছে ডিমের দাম,(Egg Price)  ফলে বাজারে গিয়ে ক্রেতারা হতবাক হচ্ছেন। একদিকে যখন আলু, পেঁয়াজ, রসুনের দাম আগেই বেড়েছে, সেই সঙ্গে শীতের শুরুতেই ডিমের দামও (Egg Price) বেড়ে গেছে। বাজারে ডিম কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্তদের পকেটে এখন বেশ টান পড়ছে।

এক সপ্তাহ আগে প্রতিটি ডিমের দাম (Egg Price) ছিল ৬ টাকা থেকে ৬.৫০ টাকা, আর প্রতি ট্রে (৩০টি ডিম) বিক্রি হচ্ছিল ১৮০ টাকা থেকে ১৮৫ টাকা। কিন্তু এখন হঠাৎ করে ডিমের দাম (Egg Price) বাড়িয়ে প্রতি পিস ডিম (Egg Price) বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা, আর প্রতি ট্রে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। এভাবে এক সপ্তাহের মধ্যে দাম বাড়ানোর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে?

   

বিক্রেতাদের মতে, মূল কারণ হচ্ছে ডিমের (Egg Price) চাহিদা বেড়ে যাওয়া। শীতকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমের চাহিদা বেড়ে যায়, কারণ শীতের মৌসুমে সাধারণত পিকনিক, রেস্তোরাঁ এবং বড়দিনের জন্য কেক তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়, যেখানে ডিমের প্রয়োজন হয়। বিশেষত বড়দিনে কেক তৈরি করার জন্য ডিমের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়, আর এ কারণে ডিমের চাহিদা আরও বেশি হয়ে ওঠে।

এছাড়া, শীতের মৌসুমে খাবারের প্রতি মানুষের আগ্রহ কিছুটা বেড়ে যায়। পিকনিক, পার্টি এবং উৎসবের জন্য বেশি করে ডিমের ব্যবহার দেখা যায়, যা ডিমের চাহিদাকে বৃদ্ধি করে। তাই বাজারে ডিমের দাম বাড়ানোর জন্য চাহিদার পাশাপাশি কিছুটা মৌসুমী কারণও দায়ী।

এদিকে, অনেক ব্যবসায়ী এবং খামারিরাও বলছেন যে, ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে তাদের খরচও বাড়ছে। ফার্মের খরচ বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে, খামারি এবং উৎপাদকরা জানিয়েছে যে, মুরগির খাবার, পরিবহন এবং অন্যান্য খরচ বেড়েছে, যার কারণে ডিম উৎপাদনেও খরচ বাড়ছে। এই খরচের চাপ পড়ছে খামারিদের ওপর, এবং সেই চাপের কারণে ডিমের দাম বাড়ানো হচ্ছে।

এর ফলে সাধারণ মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এই অতিরিক্ত খরচ তাদের দৈনন্দিন জীবনে চাপ তৈরি করছে। পরিবারে ছোট-বড় সদস্যদের জন্য খাবারের বাজেটও এখন বেশি হয়ে গেছে, বিশেষত যখন ডিমের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এতটা বাড়ছে। যেখানে আগে ডিম কিনে পরিবারের সকলে ভালোভাবে চলতে পারতেন, সেখানে এখন সেই সাধ্যমতো খাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।

তবে, শুধুমাত্র ডিমের দাম নয়, শীতকালীন মরসুমে সাধারণত অনেক ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে, যার ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য জীবনযাত্রার খরচ আরও বেশি হয়ে ওঠে। বিশেষ করে, শহরাঞ্চলে যেখানে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ডিম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, সেখানে এই দাম বাড়ানো এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে সরকার এবং ব্যবসায়ীদের উচিত খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে জিনিসপত্র সরবরাহ করা। মূল্যস্ফীতির এই চাপ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষও সাশ্রয়ী দামে খাবার কিনতে পারেন এবং জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে।

এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য যদি দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে আরও বেশি মানুষ খাদ্যাভাবের সমস্যায় পড়বেন। এমনকি অনেক পরিবারকে তাদের খাদ্য তালিকায় কাটছাঁট করতে হতে পারে, যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।

সর্বোপরি, ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ যে সমস্যায় পড়েছেন, তা স্পষ্ট। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।