শিক্ষামন্ত্রীর সাথে চাকরিহারাদের বৈঠক, অনিশ্চয়তা কাটবে কি ?

Job Seekers Meet Education Minister: Will the Uncertainty End? পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী (education minister) ব্রাত্য বসুর সঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষকদের বৈঠক নিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোচনা চলছে। এই…

education minister on SSC scam

Job Seekers Meet Education Minister: Will the Uncertainty End?

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী (education minister) ব্রাত্য বসুর সঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষকদের বৈঠক নিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোচনা চলছে। এই বৈঠকটি ১১ এপ্রিল, ২০২৫-এ কলকাতার বিকাশ ভবনে অনুষ্ঠিত হবে । বৈঠকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) চেয়ারম্যান, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক এবং চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন । এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হাইকোর্টের রায়ে চাকরি হারানো শিক্ষকদের সমস্যা শোনা এবং তাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা।

বৈঠকের সম্ভাব্য ফলাফল

শিক্ষামন্ত্রী (education minister) চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে তাদের সমস্যা এবং দাবিগুলো বিস্তারিতভাবে শুনবেন। শিক্ষকরা তাদের আইনি অবস্থান, আর্থিক সংকট এবং পুনর্বাসনের প্রত্যাশা তুলে ধরবেন। শিক্ষামন্ত্রীর সাথে এই কথোপকথন শিক্ষকদের মধ্যে সরকারের প্রতি কিছুটা আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মানবিক সমাধানের আশ্বাস

শিক্ষামন্ত্রী (education minister) ব্রাত্য বসু এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে যে তারা চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে রয়েছে। বৈঠকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতে পারে। তবে, কোনো নির্দিষ্ট সমাধানের রূপরেখা এখনও সামনে আসেনি , কারণ বিষয়টি আইনি জটিলতার মধ্যে রয়েছে।

আইনি প্রক্রিয়ার উপর নির্ভরতা

বৈঠকে স্পষ্ট করা হতে পারে যে চাকরি হারানোর বিষয়টি এখনও আদালতের বিবেচনাধীন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ইতিমধ্যে আদালতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে। শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে, আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে কোনো নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়া সম্ভব নয়।

বাগানের শেষ মুহূর্তের জাদু, টানা তিনবার আইএসএল ফাইনালে সবুজ-মেরুন

বিক্ষোভ এড়ানোর আহ্বান

বৈঠকে শিক্ষকদের প্রতি রাস্তায় বিক্ষোভের পরিবর্তে সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজার আহ্বান জানানো হতে পারে। শিক্ষামন্ত্রী এর আগেও সংবাদ মাদ্ধমে উল্লেখ করেছেন যে কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষকরা তৃতীয় পক্ষের প্ররোচনায় বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন, যা তাদের সমস্যার সমাধানে বাধা সৃষ্টি করছে।

Advertisements

শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া

চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ বৈঠকটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও, অনেকে মনে করছেন যে কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান বা সময়সীমা না দেওয়ায় তাদের অনিশ্চয়তা কাটার আশা নেই । কিছু শিক্ষক বলেছেন, তারা আইনি প্রক্রিয়ার অগ্রগতির জন্য অপেক্ষা করবেন, তবে সরকারের কাছ থেকে আরও দ্রুত এবং স্পষ্ট পদক্ষেপ আশা করছেন।

অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি, বিশেষ করে বিজেপি এবং সিপিআই(এম), এই বৈঠককে ‘চোখে ধুলো দেওয়ার প্রচেষ্টা’ বলে সমালোচনা করেছে। তারা দাবি করেছে, সরকার শিক্ষকদের প্রতি আন্তরিক নয় এবং শুধুমাত্র সময়ক্ষেপণ করছে। সেই সঙ্গে OMR sheet কেন প্রকাশ করা হলনা তা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে চাকরিহারাদের মধ্যে।

বৈঠকের সম্ভাব্য তাৎপর্য (education minister)

এই বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের সরাসরি সংলাপের একটি পদক্ষেপ। গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষকদের বিক্ষোভ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা রাজ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে, কসবার ডিআই অফিসে শিক্ষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বৈঠকের মাধ্যমে সরকার সেই উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেছে।
তবে, বৈঠকটি কোনো চূড়ান্ত সমাধান দিতে পারেনি। শিক্ষকদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি এখনও আদালতের রায়ের উপর নির্ভরশীল। আইনি প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে পারে।

পরবর্তী পদক্ষেপ

মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রথম বৈঠকে জানিয়েছে, সরকার যোগ্যদের পাশে থাকবে এবং কারুর চাকরি যাবেনা। সমান্তরালভাবে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিভিউ পিটিশনের ফলাফল এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও, সরকার শিক্ষকদের জন্য বিকল্প পুনর্বাসনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে। শিক্ষকরা তাদের পক্ষ থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে কথোপকথনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে, তারা দ্রুত সমাধানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারেন।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষকদের বৈঠক একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও, এটি এখনও কোনো নির্দিষ্ট সমাধান দিতে পারবে বলে সংশয় আছে। সরকারের আশ্বাস এবং শিক্ষকদের অপেক্ষার মধ্যে আইনি প্রক্রিয়াই এখন প্রধান নির্ধারক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে আদালতের সিদ্ধান্ত এবং সরকারের পদক্ষেপ এই সমস্যার দিকনির্দেশনা দেবে।