চাকরিহারাদের (Bikash Bhavan) দীর্ঘদিনের আন্দোলন অবশেষে কোনও দিশা পেতে চলেছে। আজ, সোমবার দুপুর ১টায়, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে চাকরিহারা শিক্ষকদের(Bikash Bhavan) প্রতিনিধি দল। এই বৈঠক ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, কারণ(Bikash Bhavan) মনে করা হচ্ছে—রাজ্য সরকার হয়তো আজই বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে। চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের(Bikash Bhavan) পুনর্বহাল, যোগ্যদের পরীক্ষা ছাড়াই ফেরত নেওয়ার দাবি, এবং অন্যান্য প্রশাসনিক জট খোলার বিষয়ে আজ আলোচনা হতে পারে।
চাকরিহারা শিক্ষকদের (Bikash Bhavan) পক্ষ থেকে প্রতিনিধি চিন্ময় মণ্ডল জানিয়েছেন, “আমরা আশা করছি আজ শিক্ষাসচিবের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে। আমরা চাই, অন্তত (Bikash Bhavan) ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করুক। আমাদের প্রধান দাবি, যাঁরা সত্যিই যোগ্য, তাঁদের যেন নতুন করে আর কোনও পরীক্ষার মুখোমুখি হতে না হয়। পুনর্বহালই হোক মূল আলোচ্য বিষয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করছি। একাধিকবার দাবি(Bikash Bhavan) জানিয়েছি, কিন্তু সেগুলি আজ পর্যন্ত পূরণ হয়নি। এবার শুধু দাবি নয়(Bikash Bhavan) আমরা আলোচনাও চাই। সরকারের থেকে একটা স্পষ্ট বার্তা দরকার—নতুন নোটিফিকেশনের মধ্যে দিয়ে কী আসতে চলেছে? পরীক্ষাহীন পুনর্বহালের প্রক্রিয়া কী হতে পারে? সেই দিকেই আমরা তাকিয়ে।”
সরকারি অবস্থান ও আলোচনা প্রক্রিয়া(Bikash Bhavan)
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রবিবার রাতে জানান, সরকার আলোচনার জন্য প্রস্তুত। যদিও তিনি স্পষ্ট করেন যে, চাকরিহারাদের দেওয়া চিঠিতে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা (Bikash Bhavan) পরিষ্কারভাবে লেখা হয়নি। তবুও শিক্ষাদফতর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ব্রাত্য বসু এ-ও বলেন, “চাকরিচ্যুতদের(Bikash Bhavan) মধ্যে কিছু মানুষ নেতিবাচক চিন্তাভাবনায় প্রভাবিত হচ্ছেন। বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাই সরকারের উদ্দেশ্য এবং প্রক্রিয়া নিয়ে খোলাখুলি আলোচনাই এখন একমাত্র পথ।”
স্মারকলিপি ও জনমত চাপে সরকার(Bikash Bhavan)
রবিবার চাকরিহারাদের একটি প্রতিনিধি দল কালীঘাট (Bikash Bhavan) থানার অনুমতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে সাত দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। একইসঙ্গে, করুণাময়ীতে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা সরকারের প্রতি আলোচনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেন। এই চাপের পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকার আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চাকরিহারাদের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, “আমাদের মধ্যে যাঁরা সত্যিই টেট ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন, তাঁদের জন্য পরীক্ষা আবার নেওয়ার কথা বলা অন্যায়। প্রশাসনিক গাফিলতিতে যদি কারও চাকরি চলে যায়, তবে তার দায় চাকরিপ্রার্থীর নয়।”
আজকের বৈঠকেই মিলবে সুরাহা?(Bikash Bhavan)
আজকের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়, সেটাই এখন দেখার। অনিশ্চয়তা, দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলন এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ভোগা চাকরিহারা শিক্ষকদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে বহু মানুষ তাদের ন্যায্য চাকরির অধিকার ফিরে পেতে পারেন। আবার আলোচনা(Bikash Bhavan) যদি অসফল হয়, তবে আন্দোলন আরও বৃহত্তর রূপ নিতে পারে।
সর্বোপরি, আজকের বৈঠক চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের (Bikash Bhavan) আন্দোলনের ভবিষ্যৎ দিশা নির্ধারণ করবে। শিক্ষা দফতরের তরফে ইতিবাচক মনোভাব দেখানো হলেও, মূল সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে প্রশাসনিক কাঠামোর উপর। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই আলোচনা চাকরিহারাদের সমস্যার প্রকৃত সমাধান আনতে পারে কি না, সেদিকেই নজর এখন গোটা রাজ্যের।