শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ কলকাতার মুকুন্দপুর এলাকায় এক (ED Raid) অভিজাত আবাসনে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়ে ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ওই আবাসনে পৌঁছান এবং সেখানে(ED Raid) অভিযান শুরু করেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল, দিল্লির একটি আর্থিক প্রতারণা মামলার তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সূত্রকে অনুসরণ করা। সেবি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া)-এর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ইডি এই অভিযান চালায়, যেখানে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রায় ৯৩ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে।(ED Raid)
সূত্র বলছে, অভিযুক্তের সংস্থা তপসিয়া এলাকার একটি অফিসে ছিল, (ED Raid) এবং সেই অফিসেই তদন্তকারী দল হানা দেয়। এই অভিযানে মূলত(ED Raid) দুটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়: অভিযুক্তের ফ্ল্যাট এবং তার অফিস। কিন্তু তদন্তকারীরা যখন সেখানে পৌঁছান, তখন এক চমকপ্রদ দৃশ্য চোখে পড়ে। ওই নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, ৭ জুলাইয়ের পর থেকে সেখানে কোনো লোকজনের যাতায়াত ছিল না। এমনকি, ওই ফ্ল্যাটের দরজা তালা দেওয়া ছিল এবং এরই মধ্যে অভিযুক্ত গায়েব হয়ে গিয়েছে(ED Raid)
৯৩ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ
এদিনের অভিযানটির পেছনে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। (ED Raid) জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রায় ৯৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই টাকা মূলত শেয়ার বাজারের মাধ্যমে উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ। সেবি এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করার পরেই তদন্তে নামে ইডি। অভিযুক্তের সংস্থা সম্পর্কে সেবি আরও জানায়, এটি শেয়ার বাজারের বিভিন্ন লেনদেনের সাথে জড়িত ছিল এবং তাদের উপর ব্যাপক আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।(ED Raid)
এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ইডি জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুয়া শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করেছে। মূলত, শেয়ার বাজারের মূল্য বৃদ্ধি করার নামে ভুয়া লেনদেনের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাহককে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। আর এই প্রতারণার তদন্তের জন্য কলকাতা এসে ইডি ওই অভিজাত আবাসনে তল্লাশি চালায়।(ED Raid)
কীভাবে হল এই প্রতারণা?
জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি শেয়ার বাজারের বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজ ট্রেডিংয়ে সক্রিয় ছিল এবং তিনি একাধিক গ্রাহককে উচ্চ মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা সংগ্রহ করতেন। তবে এই লেনদেনগুলি আসলে ছিল ভুয়া, এবং তার মাধ্যমে মানুষের বিশ্বাসের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছিল। একটি পর্যায় পর্যন্ত, এই ফাঁদে অনেক বিনিয়োগকারী পড়ে যান। কিন্তু শীঘ্রই, সেবি এই কার্যকলাপের সম্পর্কে জানতে পারে এবং অভিযোগ দায়ের করে। এর পরেই ইডি তদন্তে নামে এবং অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে।(ED Raid)
অভিযুক্তের গায়েব হয়ে যাওয়া: পূর্বাভাস ছিল?
ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন যে, ৭ জুলাইয়ের পর থেকে কোনো লোকজন ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেনি এবং এটি তালা দেওয়া ছিল। এই বিষয়টি তদন্তকারীদের কাছে প্রশ্ন তুলেছে: “অবশ্যই কি অভিযুক্ত আগেই হানার খবর পেয়েছিল?” এমনকি, অভিযুক্তের দ্রুত গায়েব (ED Raid) হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তদন্তকারীদের জন্য উদ্বেগজনক।
এত বড় ধরনের আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটলে,(ED Raid) এটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, যারা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন, তাদের মধ্যে একটি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তারা জানি না, আরও কতগুলি ফাঁদ এইভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে, ইডি আশা করছে আরও বড় কোনও চক্রের খোঁজ পাওয়া যাবে।
চলবে তদন্ত
ইডির অভিযান কেবল একটি প্রথম পদক্ষেপ। এই ধরনের(ED Raid) আর্থিক প্রতারণা চক্রের ছক অনেক গভীর হতে পারে এবং এর সঙ্গে অনেক মানুষ জড়িত থাকতে পারে। তাই ইডি আরও অনুসন্ধান চালানোর কথা ভাবছে এবং সব রকমের প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।