শীতের সকালে হাওড়া-বেহালায় অ্যাকশন মুডে ইডি, চলছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্ত

শীতের সকালে ফের ইডি (ED Raid) -এর তল্লাশি, ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার তদন্তে হাওড়া ও বেহালায় অভিযান.ভারতীয় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে…

ED Raids Kolkata Elite Society in Connection with Delhi Money Laundering Case"

শীতের সকালে ফের ইডি (ED Raid) -এর তল্লাশি, ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার তদন্তে হাওড়া ও বেহালায় অভিযান.ভারতীয় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতারণা কেলেঙ্কারি। সম্প্রতি, দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক প্রতারণা কেলেঙ্কারির তদন্তে এগিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED Raid) , অর্থাৎ ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। গতকাল, হাওড়া এবং বেহালার বিভিন্ন স্থানে ইডি একযোগে তল্লাশি অভিযান চালায়, যার লক্ষ্য ছিল একটি ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার তদন্তে অগ্রগতি সাধন করা।

ইডি সূত্রে জানা যায়, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল দীপক জৈন নামে এক ব্যবসায়ীকে ঘিরে চলা একটি বড় প্রতারণার তদন্ত। দীপক জৈন, যিনি একটি স্টিল কোম্পানির সাথে যুক্ত, তার বিরুদ্ধে ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার নাম ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন এবং ঋণের ঘাটতি তৈরি করে আসছিল এই চক্রটি। এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হওয়ার পর, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সঞ্জয় সুরেখা নামে এক অন্য ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর বাড়ি থেকে ২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল এবং দুটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

   

এখন, দীপক জৈনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে, ইডি আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। একাধিক জায়গায় অভিযান চললেও, বিশেষভাবে হাওড়া শহরের শিবপুর এবং বেহালা এলাকার আবাসনে ইডি কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাচ্ছেন। ইডির এই অভিযান কেবলমাত্র ব্যবসায়ী দীপক জৈনের বিরুদ্ধে নয়, বরং তার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যবসায়ী এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।

মনে রাখা দরকার, এই স্টিল কোম্পানির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা শুধু আর্থিক জালিয়াতি নয়, বরং বহু ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ঋণ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বেআইনি লেনদেনের দিকেও আঙুল তুলছে। বিভিন্ন সংস্থার নাম ব্যবহার করে ঋণ নেওয়া, সেই ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা, এবং এরপর সেই ঋণ ফেরত না দেওয়ার ঘটনাগুলি ঘটছিল বলে জানা গিয়েছে।

Advertisements

ইডি এই তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাইছে যে, এই বিশাল পরিমাণের প্রতারণা এবং আর্থিক কেলেঙ্কারি সঠিকভাবে তদন্তিত হবে এবং অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে কোনও ধরনের দুর্নীতি বা অপরাধমূলক কার্যকলাপ থেকে সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এই তদন্তে আরও কতটা অগ্রগতি হবে এবং কতজন নতুন আসামি শনাক্ত হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে, ইডির এই ধরনের তল্লাশি এবং অভিযান দেশের অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন এবং স্বচ্ছতার প্রতি একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছাচ্ছে।