অযথা চেন টেনে ট্রেন থামালেই হাজতবাস, দেড় মাসে ধৃত শতাধিক

নিজের সামান্য় প্রয়োজনে চেন টেনে ট্রেন থামানোর বাতিক রয়েছে অনেকের। কিন্তু রেলের চোখে এটি আইনত অপরাধ। এতে যেমন বাকি যাত্রীদের হয়রানি হতে হয়, একইসঙ্গে ট্রেনের…

Eastern Railway

নিজের সামান্য় প্রয়োজনে চেন টেনে ট্রেন থামানোর বাতিক রয়েছে অনেকের। কিন্তু রেলের চোখে এটি আইনত অপরাধ। এতে যেমন বাকি যাত্রীদের হয়রানি হতে হয়, একইসঙ্গে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা পালনে রেলকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। এমন ব্যক্তিদের এবার চিহ্নিত করে পাকড়াও অভিযানে নেমেছিল পূর্ব রেল (Eastern Railway)। গত দেড় মাসে রেলরক্ষীদের কাছে অকারণে চেন টানার অপরাধে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন ৩৯৩ জন। 

আসলে বেশ কিছু মাস ধরে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি নির্বিঘ্নে চলার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। সেফটি ভাল্ভ খুলে মোটরম্যানের কেবিনে বেজে উঠছিল অ্যালার্ম। কেউ বিপদে পড়ে চেন টানলে ঠিক যেমনটা হয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পূর্ব রেলের আধিকারিকরা নির্দিষ্ট স্থানে গেলে এমন কাউকেই পাচ্ছিলেন না যিনি চেন টানার দায় নিয়েছেন। অবশেষে দোষী চিহ্নিত করতে কড়া হাতে ময়দানে নামে রেল।

   

পূর্ব রেলের (Eastern Railway) মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, গত উক্ত সময়ে রাঁচি-ভাগলপুর বনাঞ্চল এক্সপ্রেস, দানাপুর-ভাগলপুর ইনটারসিটি এক্সপ্রেস, হাওড়া-জামালপুর এক্সপ্রেস, দানাপুর-সাহেবগঞ্জ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এবং গুয়াহাটি এসভিএমটি বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস – এই ট্রেনগুলিতে সবচেয়ে বেশি চেন টানার ঘটনা ঘটেছে।

বিনা টিকিটের যাত্রী ধরার পাশাপাশি জোরাল কারণ ছাড়া ট্রেনের চেন টেনেছেন এমন ব্যক্তিদের পাকড়াও অভিযান চালান হয়। সূত্রের খবর, ১ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেলওয়েতে (Eastern Railway) কর্তব্যরত আরপিএফদের হাতে মোট ৩৯৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন। রেলওয়ে আইনের ১৪৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী অকারণ বা সামান্য কারণে ট্রেনের চেন টানার অপরাধে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৪৫৪টি মামলা রুজু করার পাশাপাশি কারাদণ্ডও হযেছে অনেকের।