বৃহস্পতিবার থেকে চার দিন বন্ধ মেট্রো, যাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (East West Metro) বন্ধ থাকবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার। সিগন্যালিংয়ের কাজের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই চার দিন হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড…

East-West Metro Services Suspended for Four Days Starting Thursday, Passengers Face Discomfort

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (East West Metro) বন্ধ থাকবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার। সিগন্যালিংয়ের কাজের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই চার দিন হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম দফায় বন্ধ থাকবে। পরে, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবারও পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

এই বন্ধের কারণ, মেট্রোতে কমিউনিকেশন বেসড্ ট্রেন কন্ট্রোল সিগন্যালিং সিস্টেম বা সিবিটিসি চালু করা হচ্ছে। সিবিটিসি অত্যাধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা, যা মেট্রোর নিরাপত্তা বাড়াবে। এই সিস্টেম চালু হলে ট্রেনের মধ্যে ধাক্কা লাগা এবং অতিরিক্ত স্পিডের আশঙ্কাও কেটে যাবে। সিবিটিসির মাধ্যমে মেট্রো পরিষেবার গতি ও নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি পাবে।

   

বর্তমানে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে দুটি গ্রিন লাইন রয়েছে। শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো চালু হলে, সেখানকার সব রুট গ্রিন লাইন হিসেবে পরিচিত হবে। সিগন্যালিংয়ের কাজ শুরু হতে চলেছে এই চার দিন ধরে। এর মাধ্যমে নতুন সিস্টেম চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

মেট্রো বন্ধ থাকলে বাসে যাত্রীদের চাপ বাড়বে। এই কারণে সরকারি ও বেসরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। শাটল পরিষেবার জন্য অতিরিক্ত ট্রিপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু মেট্রো দিয়ে যাত্রা করলে যেটুকু সময় বাঁচানো সম্ভব হয়, বাস বা ট্রামে তা সম্ভব হবে না। বাস ও ট্রামে যাত্রীরা বেশি সময় নিতে পারেন।

মেট্রো বন্ধ থাকার কারণে, যাঁরা প্রতিদিন এই রুটে মেট্রো দিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের উচিত, বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে আরও কিছু সময় হাতে নিয়ে বের হওয়া। এতে করে যাতায়াতের সময়ে কোনও সমস্যা হবে না।

যাত্রীরা মেট্রো বন্ধ থাকার সময় বাস বা ট্রাম ব্যবহার করতে বাধ্য হলেও, তা মেট্রোর মতো দ্রুত হবে না। তাই এই সময়টাতে তাঁরা পরিকল্পনা করে বের হবেন। পরিবহন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত বাস ও শাটল পরিষেবার মাধ্যমে যাত্রীদের কিছুটা সমস্যা কমানোর চেষ্টা করা হবে।

মেট্রো সিগন্যালিং সিস্টেমের কাজ মেট্রোর নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে মেট্রো পরিষেবা আরও উন্নত হবে। এর ফলে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমবে। পাশাপাশি, ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

এতদিন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে পুরোনো সিগন্যালিং ব্যবস্থা ব্যবহৃত হত। তবে, সিবিটিসি চালু হওয়ার পর সেই সিস্টেমের পরিবর্তন হবে। নতুন সিস্টেম ট্রেনের গতির ওপর পুরোপুরি নজর রাখতে সক্ষম হবে। এর ফলে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।

এই চার দিন মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকায়, যাত্রীরা অন্য উপায়ে যাতায়াত করবেন। তবে, মেট্রোর মতো দ্রুত পরিষেবা বাস বা ট্রামে পাওয়া যাবে না। যাত্রীরা সময় নিয়ে বের হলে কোনও সমস্যা হবে না।