কলকাতা: মহাষ্টমীর সকালে পুষ্পাঞ্জলির সময় যখন পুজো মণ্ডপে মানুষের ভিড় তুঙ্গে, তখনই হঠাৎই শুরু হল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। সকাল সকাল কোনও পূর্বাভাস না থাকলেও, আচমকা এই বৃষ্টিতে অষ্টমীর আনন্দে খানিকটা ভাঁটা পড়ে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ স্থানীয় বৃষ্টিপাতের (Durga Puja 2025 Weather) সম্ভাবনা ছিল এবং তা বাস্তবেও দেখা দিল।
আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, আগামী দু’ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের অন্তত ছয়টি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া।
আজ অষ্টমীতে মূলত আংশিক মেঘলা আকাশ এবং রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ভোগাতে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
নবমীর রাত থেকেই নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে। দশমীর দিনে প্রবল বর্ষণ এবং ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নবমী ও দশমীতে ঘণ্টায় ৪০ কিমি বা তার বেশি বেগে হাওয়া বইতে পারে এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
দশমী ও একাদশীতে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পুজোর পরবর্তী শোভাযাত্রা বা অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলিতে প্রভাব ফেলতে পারে এই বৃষ্টি। তবে শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিচ্ছিন্ন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও রবিবারের কার্নিভালের দিনে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের পরামর্শ:
বজ্রপাতের সময় বাইরে না যাওয়া ও খোলা জায়গা এড়িয়ে চলা
ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখা
উঁচু গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির নিচে না দাঁড়ানো
আবহাওয়ার সর্বশেষ আপডেট নজরে রাখা
অষ্টমীর সকাল থেকেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিতে পুজোর আবহে খানিকটা ছন্দপতন হলেও নবমী ও দশমীর বৃষ্টির পূর্বাভাস আরও বেশি চিন্তার। তাই পুজোর শেষ দু’দিনে নিরাপদে থাকতে আবহাওয়া দফতরের নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে।