২০২৫ সালের ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে রাজ্যের কোণায় কোণায় শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকারের’ (Duare Sarkar) নবম পর্ব। শুরুতেই ‘দুয়ারে সরকারের’(Duare Sarkar) ক্যাম্পে অংশ নিলেন প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষ। রাজ্যজুড়ে ১৩,৯২২ টি ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেছেন মানুষ। যা রাজ্য সরকারের উদ্যোগের সফলতার ইঙ্গিত দেয়।
প্রথম দিনেই ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৯৬ জন মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে যে, ‘দুয়ারে সরকারের’(Duare Sarkar) এই কার্যক্রমটি রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতেও পৌঁছে যাচ্ছে। জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে ৩৭টি সরকারি প্রকল্প একত্রিত করে একটি কেন্দ্রীয় শিবিরের আওতায় আনা হয়েছে। এই শিবিরে গিয়ে মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরকারি সুবিধা নিতে পারছেন।
এই শিবিরগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী এবং স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পগুলির জন্য। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য চালু হওয়া এই প্রকল্পগুলোতে অনেক বেশি মানুষের সমাগম দেখা গেছে। আর একদিকে, আধার কার্ড সংশোধন, বিদ্যুতের বিল সংক্রান্ত সমস্যা এবং ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের মতো অন্যান্য পরিষেবাগুলিতেও ভালো সাড়া মিলেছে।
এবারের ‘দুয়ারে সরকারের’(Duare Sarkar) ক্যাম্পে বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় হল, সরকারের নানা প্রকল্প মানুষের কাছে সহজলভ্য হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি প্রকল্পগুলির জন্য দীর্ঘকালীন অপেক্ষা কমিয়ে আনা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে সন্দেশখালিতে জানিয়েছিলেন যে, গোটা রাজ্যে ‘দুয়ারে সরকারের’ শিবির শীঘ্রই শুরু হবে। তা ২৪ জানুয়ারি থেকেই চালু হল। এটি চলবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
‘দুয়ারে সরকারের’ যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। সে সময় থেকেই রাজ্যজুড়ে জনগণের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগটি চালু হয়। এখন পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৬৫টি শিবির আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ১১ কোটি ৪৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭১৬ জন মানুষ।
এই বার্ষিক ক্যাম্পের আওতায় এবার রাজ্যজুড়ে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৬টি শিবির আয়োজন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, ‘দুয়ারে সরকারের’ এই উদ্যোগ রাজ্যবাসীর মধ্যে একটি বৃহত্তর বিশ্বাস এবং আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এদিকে, ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে এই শিবিরগুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারে, তার জন্য আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে নবান্ন। আশা করা যাচ্ছে, এই উদ্যোগ আগামী দিনগুলোতে আরও বৃহত্তর আকার ধারণ করবে এবং রাজ্যের সামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।