করোনার জেরে বাংলার বিদ্যালয়ে বাড়ছে ড্রপ আউট

করোনা অতিমারীর জেরে বন্ধ স্কুল-কলেজ। বিধিনিষেধ শিথিল হলে খোলা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি, আবার সংক্রমণের গ্রাফ বাড়লেই ফের বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সবকিছু। যদিও জারি রয়েছে…

করোনা অতিমারীর জেরে বন্ধ স্কুল-কলেজ। বিধিনিষেধ শিথিল হলে খোলা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি, আবার সংক্রমণের গ্রাফ বাড়লেই ফের বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সবকিছু। যদিও জারি রয়েছে অনলাইন ক্লাস। তবে বেশিরভাগ সমীক্ষা বলছে, বারবার এসবের জন্য পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ড্রপ আউটের আশঙ্কা। আর এই নিয়ে বেজায় চিন্তায় পড়েছেন অভিভাভাবকরা।

Advertisements

 

   

করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ার পরপরই ২০২০ সালের মার্চ মাসে যখন দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন বাকি জনজীবনের মতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল শিক্ষা ব্যবস্থাও। স্কুল, কলেজগুলির গেটে তালা পড়ে গিয়েছিল পড়ুয়াদের জন্য। মাঝে কয়েক বার জন্য স্কুল খোলার চেষ্টা করা হলেও তা বেশিদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

 

অনলাইন পড়াশোনায় নিজেদের মানিয়ে নিতে পারছে না অনেক পড়ুয়াই, আর যার শেষ পরিণতি হচ্ছে ড্রপ আউট। অনলাইন পরিকাঠামোর অভাবেই এমন ড্রপ আউট বলে আশঙ্কা। ড্রপ আউটদের ক্লাসে ফেরাতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। পাশাপাশি স্কুল খোলার আবেদন এই নতুন জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন খোদ এক স্কুল শিক্ষক। এদিকে এই নিয়ে
প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন সিনিয়র আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার অর্থাৎ আগামীকাল সকালে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হবে বলে
জানালেন প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।