শেষমেষ মোদী নন, যোগীকেই শাসক হিসাবে চাইছেন দিলীপ?

মোদী নন উত্তরপ্রদেশের যোগীই বাংলা দিলীপ ঘোষের প্রথম পছন্দ? শুনতে অবাক লাগলেও, দিলীপ ঘোষের মুখে এরকম কথা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। নিজের সোজা-সাপ্টা এবং সেন্সরবিহীন…

jogi and dilip

মোদী নন উত্তরপ্রদেশের যোগীই বাংলা দিলীপ ঘোষের প্রথম পছন্দ? শুনতে অবাক লাগলেও, দিলীপ ঘোষের মুখে এরকম কথা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। নিজের সোজা-সাপ্টা এবং সেন্সরবিহীন কথাবার্তার জন্য বরাবরই বঙ্গ রাজনীতিতে আলাদা একটা জায়গা নিজের দখলে রেখেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। আবারও তাঁর সেই চেনা মেজাজেই ঝোড়ো ব্যাটিং করলেন ঘোষবাবু।

লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হারতে হয়েছে তাকে। ফল প্রকাশের পর আবারও তাকে নিজের কেন্দ্রে দেখা গেল। এবারে তিনি গিয়েছিলেন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে প্রভাবিত বিভিন্ন এলাকার বিজেপি সমর্থকদের সাথে কথা বলতে এবং তাদেরকে সাহস জোগাতে। আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের চিরাচরিত মেজাজে মুখ খুললেন বিজেপি সমর্থকদের প্রিয় দিলীপ দা।

   

যদিও হেরে যাওয়ার পর দিলীপ ঘোষের গলায় এদিন ছিল কিছুটা অভিমানেরই সুর। নিজের পরাজিত হওয়াকে তিনি উত্তরপ্রদেশের বিজেপির খারাপ ফলের সঙ্গে করলেন তুলনা। বললেন ‘যোগীজি ভারতবর্ষের সবথেকে সেরা শাসক, এত কাজ করেছেন তবুও তাকেই তো মানুষ ভুলে গেল। এখন ৫০০ টাকা পেলে মানুষ ভুলে যায় সবকিছু। বাংলার বুকে দুষ্কৃতীরা জয়ী হলে লুটপাট তো চালাবেই। আমাদের কিইবা করার আছে? “

যদিও মোদীর অধিনায়কত্বে বিজেপি এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজেপির ছোট, বড়, মাঝারি সব নেতার মুখে এখনও মোদী নামই চলছে। সেখানে স্রোতের বিপরীতে হেঁটে যোগী আদিত্যনাথকেই নিজের দেখা সেরা শাসক ঘোষণা করে দিলেন দিলীপ ঘোষ। অবশ্য সঙ্ঘ শিবিরের অতি ঘনিষ্ঠ দিলীপ, আরএসএস এর অন্যতম মুখ যোগীকেই যে পছন্দ করবেন তাতে অস্বাভাবিক কিছুই ছিল না।

অবশ্য নিজের পছন্দের কেন্দ্র মেদিনীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারার আফশোস যে এখনও তাঁর যায়নি, সেটা দিলীপ বাবুর কথাতেই স্পষ্ট। তার পরিষ্কার বক্তব্য, তিনি মেদিনীপুর থেকে সরতে প্রথমে রাজি হননি, কিন্তু দলের চাপে তাকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে আসতে হয়েছে।

যদিও কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি হবার দৌড়ে ভাল মতই আছেন দিলীপ ঘোষ। এমনকি অনেক সূত্রের মতে, মেদিনীপুরের উপনির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিয়ে বিধানসভায় নিয়ে আসারও একটা চেষ্টা চালানো হতে পারে। যদিও সেই সবই সম্ভাবনা অঙ্ক। বাস্তবে দিলীপ এখন ঝাড়া হাত-পা। আর এখন বিজেপিতে পদহীন দিলীপ, আগামী কদিনে বাংলায় নিজের সমর্থন এবং নিজের একান্ত অনুগত সংগঠন তৈরীতে মন দেবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।