বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। (Dilip Ghosh) সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যার মধ্যে দিলীপ ঘোষের নাম জড়ানো হয়েছে। এই ভিডিওটি নিয়ে দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এটি তার নয় এবং ভিডিওটি সম্পূর্ণভাবে ভুয়ো। নিজের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি(Dilip Ghosh)
শনিবার, দিলীপ ঘোষ লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেছেন, “এটি আমার ভিডিও নয়। আমি নই।” পাশাপাশি, দিলীপ তার অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত(Dilip Ghosh) করেছেন, এই ভিডিওটি তার বদনাম করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। একদিকে যেমন তিনি এই ভিডিওটিকে ভুয়ো এবং উদ্দেশ্যমূলক বলেছেন, অন্যদিকে তিনি দাবি করেছেন যে, তার বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে গোপনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে, যা তার সম্মানহানির উদ্দেশ্যে। দিলীপের মতে, এই ভিডিও তৈরির পেছনে একটি গভীর চক্রান্ত রয়েছে, যা তার রাজনৈতিক জীবনকে কলঙ্কিত করতে চাচ্ছে।(Dilip Ghosh)
দিলীপ ঘোষ আরও বলেছেন, ‘‘আমি বলছি, এটা ফরেনসিকে পাঠান। কারা নোংরামি করছে আমার সঙ্গে, সেটা চিরতরে শেষ হওয়া দরকার। আমি শেষ দেখে ছাড়ব।’’ তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তিনি এই বিতর্কের পুরোপুরি তদন্ত চাইছেন এবং কোনওভাবেই এই ষড়যন্ত্রের শিকার হতে প্রস্তুত নন।
দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, সামাজিক মাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, যা তার রাজনৈতিক কেরিয়ারকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশ্যে। তিনি তার অভিযোগে আরও জানিয়েছেন, ‘‘আমাকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র হয়েছে, এবং এটি শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত সম্মান হানি নয়, আমার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যতেও এর প্রভাব পড়তে পারে।’’
অভিযোগ দায়ের করার পর দিলীপ ঘোষ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও ফোন করেছেন এবং ভিডিওটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন। এটি স্পষ্ট যে, দিলীপ চান ভিডিওটি খতিয়ে দেখা হোক এবং এর আসল প্রকৃতিটা উঠে আসুক। দিলীপের মতে, তিনি চান এই ভিডিও নিয়ে কোনও ধরনের অপপ্রচার না চালানো হোক এবং যারা এই অপপ্রচার ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বিশ্বস্ত সূত্র থেকে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যে ভিডিওটি ফরেনসিকে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। দিলীপের বক্তব্য, ‘‘এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্য থাকতে পারে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তাঁর কাছ থেকে সমস্ত তথ্য এসেছে এবং তিনি তার পক্ষ থেকে তদন্তের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।(Dilip Ghosh)
তবে, দিলীপ ঘোষ আরও বলেছেন যে, দলের মধ্যে এসব চলতে পারে না এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, যা তার রাজনৈতিক কর্মজীবনকে কালিমালিপ্ত করছে।’(Dilip Ghosh)
দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কারা রয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হোক এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হোক।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের আইনানুযায়ী শাস্তি দেওয়া হোক।’’ দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে এবং এটা স্পষ্ট যে, তিনি নিজের সম্মান এবং রাজনৈতিক অবস্থান রক্ষার জন্য কোনও কম্প্রোমাইজ করতে রাজি নন(Dilip Ghosh)
তবে, দিলীপ ঘোষের এই ঘটনায় দলের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অপপ্রচার বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে। অন্যদিকে, বিরোধীরা বলছেন, এটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিরই প্রতিফলন।
বিষয়টি যে রাজ্য রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তা বলাই যায়। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পর দলীয় কর্মীদের মধ্যে একটি সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রশ্ন উঠছে, কি কারণে এই ধরনের ষড়যন্ত্র এবং তার পিছনে কোন শক্তি কাজ করছে।
এখন অপেক্ষা শুধু তদন্তের। সাইবার ক্রাইমের তদন্ত এবং ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর হয়তো এই বিতর্কের কোনও সঠিক দিশা পাওয়া যাবে। তবে, দিলীপ ঘোষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তিনি চাইছেন দ্রুততম সময়ে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক এবং যারা তার সম্মানহানি করতে চেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।