পাহাণ্ডি বিজয়ের পর দিঘার মন্দিরে গজবেশে সজ্জিত জগন্নাথ দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল

বাংলার সমুদ্রতীরবর্তী শহর দিঘা আজকাল শুধু তার প্রাকৃতিক (Digha Jagannath Temple)  সৌন্দর্য দিয়েই পরিচিত নয়, বরং ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের জন্যও বেশ আলোচিত। দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়ে গেছে প্রাক রথযাত্রা উৎসব। প্রতি বছরই রথযাত্রার আগে একগুচ্ছ আচার, অনুষ্ঠান (Digha Jagannath Temple)  ও উৎসবের আয়োজন থাকে, তবে এই বছর দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে অনুষ্ঠানমালা এক বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে ১১ জুন, বুধবার শুরু হতে যাচ্ছে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা, যা মন্দিরের দর্শনার্থীদের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে।(Digha Jagannath Temple)  

স্নানযাত্রার সূচনা: পাহাণ্ডি বিজয়ের উৎসব(Digha Jagannath Temple)  

মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী,(Digha Jagannath Temple)  স্নানযাত্রার প্রথম অনুষ্ঠান হিসেবে সকাল ৯টায় পাহাণ্ডি বিজয়ের উৎসব পালিত হবে।(Digha Jagannath Temple)  এই সময় মন্দিরের দেবতাদের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়, এবং তাদের রথযাত্রার প্রস্তুতির জন্য বিশেষ পুজোও অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসব একদিকে যেমন আধ্যাত্মিক আনন্দে ভরপুর, অন্যদিকে এটি একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব হিসেবে সারা বাংলায় পরিচিত।(Digha Jagannath Temple)  

পাহাণ্ডি বিজয়ের পর বেলা ১১টায় শুরু হবে স্নানযাত্রা অনুষ্ঠান।(Digha Jagannath Temple)  জগন্নাথ, বলদেব এবং সুভদ্রার স্নানযাত্রা হবে, এবং সেই সময় মন্দিরের প্রবেশদ্বারের বাঁ দিকে একটি মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে ভক্তরা সরাসরি স্নানযাত্রা দেখতে পাবেন। স্নানযাত্রা অনুষ্ঠানে স্নানমঞ্চে দেবতাদের উপস্থিতি, তাদের গাজনীয় রূপ ও স্নানযাত্রার অন্তর্গত সকল আচার ভক্তদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা।(Digha Jagannath Temple)  

গজবেশ দর্শন এবং অন্যান্য অনুষ্ঠা(Digha Jagannath Temple)  

স্নানযাত্রার পরবর্তী অংশে থাকবে গজবেশ দর্শন, যা হবে দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এই সময়ে জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা হস্তীবেশে বা গজবেশে দর্শন দেবেন। হস্তী বা গজবেশে(Digha Jagannath Temple)  দেবতাদের দর্শন সাধারণত এক আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা। ভক্তরা এই সময়ে তাদের প্রিয় দেবতার নতুন রূপ দেখতে পাবেন এবং তার কাছ থেকে আশীর্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।(Digha Jagannath Temple)  

এরপর ১২ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত মন্দিরে দর্শন বন্ধ থাকবে। তবে ২৬ জুন থেকে পুনরায় দর্শন শুরু হবে, এবং ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে রথযাত্রা, যা সকল ভক্তদের জন্য একটি বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।(Digha Jagannath Temple)  

কলকাতার ইসকনেও প্রস্তুতি শুরু(Digha Jagannath Temple)  

দিঘার মন্দিরের মতো কলকাতার ইসকনও স্নানযাত্রার(Digha Jagannath Temple)  আয়োজন করেছে। কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য রাধারমন দাস জানিয়েছেন, রবীন্দ্র সরোবরের কাছে নজরুল মঞ্চে বিকেল ৩:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত (Digha Jagannath Temple)  জগন্নাথের স্নানযাত্রা এবং দর্শন। ইসকন কর্তৃপক্ষও প্রস্তুতি শুরু করেছে ভক্তদের স্নানযাত্রার(Digha Jagannath Temple)  অভিজ্ঞতা আরও শ্রীযুক্ত করতে। কলকাতার ইসকন মন্দিরে এই বিশেষ আয়োজনকে কেন্দ্র করে শ্রী জগন্নাথ দেবের ভক্তরা একত্রিত হবেন এবং স্নানযাত্রা উপলক্ষে প্রচুর ভক্ত সমাগমের আশা করা হচ্ছে।(Digha Jagannath Temple)  

রথযাত্রা: মাসির বাড়ির যাত্রা(Digha Jagannath Temple)  

২৭ জুন, রথযাত্রার দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে শ্রী(Digha Jagannath Temple)  জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা তাদের রথে আরোহণ করবেন। এই সময় তাদের রথটি সজ্জিত হয়ে “মাসির বাড়ি” যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবে। এটি এক পরম আধ্যাত্মিক মুহূর্ত, যেখানে রথযাত্রার পরিবেশে ভক্তরা তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করেন।(Digha Jagannath Temple)  

(Digha Jagannath Temple)  প্রতিবছরের রথযাত্রা এবং স্নানযাত্রা অনুষ্ঠানগুলো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার এক প্রতীক। দিঘা এবং কলকাতার ইসকন মন্দিরে এই বিশেষ অনুষ্ঠানগুলি বাংলার ধর্মীয় জগতকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে এবং ধর্মপ্রাণ মানুষদের একত্রিত করে। স্নানযাত্রা ও রথযাত্রার এই প্রস্তুতি বাংলার সৈকত শহর দিঘাকে নতুন আধ্যাত্মিক আলোকমালায় সজ্জিত করেছে, যা দীর্ঘদিন ধরে সবার মনে থাকবে।