রাজ্য বিজেপির রাজনৈতিক সমীকরণে আবারও নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । সম্প্রতি দিল্লির তরফে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে— দলের পুরনো ফর্মেই যেন তিনি আবারও সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। দলের ভিতরে দলবদলু (Dilip Ghosh) গোষ্ঠীর আপত্তিকে আমল না দিয়ে, দিলীপ ঘোষকে নিয়ে দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে বিজেপির(Dilip Ghosh) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
গত কয়েক বছরে বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরে(Dilip Ghosh) যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও অন্তর্দ্বন্দ্ব বেড়েছে, তাতে অনেকেরই রাজনৈতিক কেরিয়ার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh) এই ধাক্কার বাইরে ছিলেন না। তবে তাঁর রাজনৈতিক দক্ষতা ও সাংগঠনিক(Dilip Ghosh) ক্ষমতা নিয়ে কোনওদিনই প্রশ্ন তোলেনি দলীয় হাইকম্যান্ড। বরং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির নজরকাড়া সাফল্যের পেছনে (Dilip Ghosh) অন্যতম কৃতিত্ব দিলীপ ঘোষেরই— এই বাস্তব মেনেই তাঁকে আবারও সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে দিল্লি।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) মেদিনীপুরে তাঁর পুরনো সাংগঠনিক এলাকায় নিয়মিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে বলা হয়েছে। এমনকি আরএসএসের তরফ থেকেও তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে তিনি দলের কাজ চালিয়ে যান ও মাঠে থাকেন। মেদিনীপুরে ইতিমধ্যেই বেশ(Dilip Ghosh) কয়েকটি ছোট-বড় কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে তাঁকে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখে, তৃণমূলের দখলে থাকা এলাকাগুলিতে সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা করছেন দিলীপ।
বঙ্গ বিজেপিতে বর্তমানে দলবদলুদের একটি (Dilip Ghosh) শক্তিশালী অংশ প্রভাব বিস্তার করেছে। তাঁদের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দূরত্ব নতুন নয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝে গিয়েছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও তার আগেই পঞ্চায়েত বা পুরভোটে দলকে মাটি থেকে সংগঠিত করতে গেলে দিলীপ ঘোষের(Dilip Ghosh) মতো মাঠকর্মী নেতার কোনও বিকল্প নেই। সুতরাং, রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরে বিরোধিতার সুর থাকলেও, দিলীপকে সরিয়ে রাখার পক্ষপাতী নন দিল্লির অধিকাংশ শীর্ষনেতাই।
দলীয় নেতাদের মতে, দিলীপ ঘোষের(Dilip Ghosh) সবথেকে বড় শক্তি হল তাঁর সরাসরি ভাষা ও নির্ভীক মনোভাব। তিনি দলের কর্মীদের মধ্যে একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে পারেন এবং নিচু স্তরের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর সংযোগ অত্যন্ত মজবুত। এই কারণেই তাঁকে আবারও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সংগঠনিক কাজে লাগানোর পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে।
খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই দিলীপ ঘোষকে(Dilip Ghosh) বিজেপির রাজ্যস্তরের ‘রেগুলার’ কর্মসূচিতে যুক্ত করা হবে। তাঁর জন্য আলাদা করে একটি দায়িত্ব নির্ধারণ করার কথাও ভাবা হচ্ছে, যাতে তিনি আবারও রাজ্য রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে উঠতে পারেন। দলের একাংশ মনে করছে, দিলীপ ঘোষকে(Dilip Ghosh) সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে রাজ্যে বিজেপির হারিয়ে যাওয়া জমি অনেকটাই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
সব মিলিয়ে, টানাপোড়েনের রাজনীতির মাঝেও দিলীপ ঘোষকে(Dilip Ghosh) ঘিরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই পুনরায় আস্থা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। রাজনীতিতে হঠাৎ করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না— বরং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই দিলীপ ঘোষের পুনরাগমন ঘটছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।