দেউচা-পাঁচামি কয়লাখনির খননকাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে। বুধবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস) উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘লাকি’ ডে হিসেবে পরিচিত এই দিনটি থেকে দেউচা-পাঁচামি খননকাজের সূচনা হতে চলেছে। সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন কাজ শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “দেউচা-পাঁচামি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি। এই কয়লাখনি থেকে রাজ্য ১০০ বছর ধরে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, রাজ্য সরকারের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল এই খননকাজ শুরু করা, আর অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। খননকাজ শুরু হলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে জমিদাতাদের মধ্যে দেউচা-পাঁচামি কয়লাখনির ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু শঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তবে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্তের সফরের পর সেই শঙ্কা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছিল। গত মাসে এই সফরের পর থেকেই খননকাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়।
এই প্রকল্পের প্রথম দফায় ৩২৬ একর জমিতে ব্যাসল্ট খনন করা হবে। কারণ, দেউচা-পাঁচামি কয়লাখনির উপরে ১০০ মিটার থেকে ৩৫০ মিটার পুরু ব্যাসল্টের আস্তরণ রয়েছে। ব্যাসল্ট খননের কাজ শুরু করার পর এক বছর মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাসল্ট খনন পর্ব শেষ হলে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে, যা শুধু ভারতেই নয়, পুরো বিশ্বে অত্যন্ত চাহিদা থাকবে।
ব্যাসল্ট খনন শেষে রাজ্য ৫,০০০ কোটি টাকা আয় করতে পারে বলে আশাবাদী। এছাড়া, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং স্থানীয় মানুষরা নতুন চাকরি পাবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এই প্রকল্প শুরু হলে বহু মানুষের জীবনে পরিবর্তন আসবে। এখানকার লোকেরা চাকরি পাবে এবং অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।”
এছাড়া, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ৩৭৬ একর জমিতে এই প্রকল্প কাজ শুরু হবে, তবে প্রাথমিকভাবে ৩২৬ একর জমিতে খননকাজ শুরু হবে। ৫০ একর জমি এখনও অধিগ্রহণ হয়নি, তবে তা তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হবে।