নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে ২০২০-র শুরুতে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দাঙ্গা (Delhi violence) ছড়িয়ে ছিল। সেই দাঙ্গার ঘটনায় একটি মামলার তদন্ত ইচ্ছাকৃত দেরির কারণে এক পুলিশ অফিসারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিলেন দিল্লির চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অরুণ কুমার গর্গ।
সোমবার মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারক বলেন, তদন্তে দেরি করার কারণে অভিযুক্তরা অকারণ হেনস্তার শিকার হয়েছেন। যে কারণে এখনও দু’জনকে জেল হেফাজতের থাকতে হচ্ছে। একজন পুলিশ অফিসার ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্তের কাজে গাফিলতি করবেন এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হল। শুধু তাই নয়, বিচারক পুলিশ অফিসারের বেতন থেকে জরিমানার টাকা আদায় করার নির্দেশও দিয়েছেন।
এদিনের শুনানিতে দিল্লির দাঙ্গা মামলার তদন্ত যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেজন্য পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যত শীঘ্র সম্ভব তদন্ত শেষ করার জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়েও পুলিশ কমিশনারকে সাত দিনের মধ্যে আদালতের কাছে রিপোর্ট দিতে বলেছেন বিচারক।
উল্লেখ্য, দিল্লি দাঙ্গা মামলায় আকিল আহমেদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে আকিলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আলাদা করার নির্দেশ দিয়েছিল দায়রা আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে শুনানির সময় স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, আকিলের মামলা ইতিমধ্যে আলাদা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার জানান, তিনি আকিল সম্পর্কে আলাদা করে কোনও তদন্তই করেননি।
পাবলিক প্রসিকিউটর ও তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের বক্তব্য আলাদা হওয়ায় বিচারক গর্গ দু’জনকেই তীব্র ভর্ৎসনা করেন। বিচারক বলেন, দেখে শুনে মনে হচ্ছে তদন্তকারী অফিসার জানেন না কীভাবে এই মামলায় এগুতে হবে। সেকারণেই তাঁরা আদালতের কাছে আরও সময় চাইছেন। তবে তদন্তের প্রয়োজনে সময় চাইছেন তা নয়। বরং তাঁরা তদন্ত বানচাল করার জন্যই অতিরিক্ত সময় চাইছেন। তাই এটা মেনে নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লির কারকারডুমা আদালতের বিচারক বিনোদ যাদব বলেছিলেন, দিল্লির দাঙ্গার তদন্তকে প্রহসনে পরিণত করেছে পুলিশ। পুলিশের সাক্ষীরা শপথ নিয়ে একের পর এক অসত্য কথা বলে চলেছেন। সোমবার বিনোদ যাদব এর সুরে সুর মিলিয়ে একই কথা বললেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অরুণকুমার গর্গ।