তিলজলা কাণ্ডে ফাঁসির আদেশ, কলকাতা পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেবাংশু!

TMC Leader Debangshu Bhattacharya Criticizes CPM Over Jadavpur Incident

২০২৩ সালের ২৬ মার্চ তিলজলায় এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের কাণ্ডে জড়িত (Tiljala Rape Case) আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল। স্বভাবতই এই ঘটনায় খুশি রাজ্যের প্রত্যেকটা মানুষ। খবর ঘাঁটলে বোঝা যাবে, উক্ত দিনে আবাসনের নিচ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে অলোক কুমার সাউ।

Advertisements

তারপর তার চিৎকার ও কান্না থামাতে শিশুটির মাথায় হাতুড়ি মেরে খুন করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিলজলার এই শিশু ধর্ষণ-খুনের মামলার দোষীকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য্য লিখেছেন, “শিলিগুড়ির পর তিলজলা..
এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, বাংলা। এখানে বিচার হয়.. অপরাধীর জন্য বরাদ্দ হয় ফাঁসির দড়ি..” তার সঙ্গে কলকাতা পুলিশকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

Advertisements

আলিপুরের ‘বিশেষ’ পকসো আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। অনেকেই মনে করছেন আরজি কর কাণ্ডে যখন এখনও ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ মানুষকে পথে নামতে হচ্ছে, তখনই বাংলার আরেক ‘দুর্গা’ দুর্গাপুজোর আগেই ন্যায়বিচার পেল। তিলজলা কাণ্ডে নিহত শিশুকন্যার মা ও বাবা আদালতে একটাই দাবি করেছিলেন যে আসামির যেন ফাঁসির সাঁজা হয়। তারপরই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে আসামিকে ফাঁসির সাজার নির্দেশ দেন বিচারক।

স্কুলের খ্যাতি বাড়াতে ক্লাস ২-এর ছাত্রকে বলিদান শিক্ষকদের

বিচারক বলেন যে আসামি যে কাজ করেছে তা সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তিনি বলেন, “আপনি পুরো কাজটি খুব ঠাণ্ডা মাথায় করেছেন। আপনাকে সহানুভূতি দেখানো যায় না।” তার সঙ্গে এই কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের তদন্তের অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন যে পুলিশের তদন্তের ফলেই এই মামলায় গতি এসেছে।

এই গোটা বিষয়টিকে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের সঙ্গে তুলনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন দেবাংশু। কলকাতা পুলিশকেও জানিয়েছেন ধন্যবাদ। আরজি কর কাণ্ডের আবহে কলকাতা পুলিশের এই সফল কৃত্যকেই সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি।