দুঃসাহসিক ডাকাতি (Robbery) কলকাতার বড়বাজারে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরের মধ্যে। ডাকাতির শিকার হয়েছেন বড়বাজারের এক বেসরকারি সংস্থার মালিক। অভিযোগ, অফিসে ঢুকে তিন যুবক অস্ত্র নিয়ে মালিককে মারধর করে, পরে তাকে হাত-পা বেঁধে ১৫ লক্ষ টাকা লুটে নিয়ে পালায়।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বড়বাজার থানায় ডাকাতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতি ঘটেছে বড়বাজারের সিনাগগ স্ট্রিটের একটি বহুতলের পাঁচতলায়। এখানে বেশ কয়েকটি সংস্থার অফিস রয়েছে। সন্ধ্যার পর যখন অফিসের কেউ ছিল না, তখন তিন যুবক ওই অফিসের সামনে আসে। প্রথমে একজন ভিতরে ঢোকে, পরে অন্যান্য দু’জন ঢুকতে পারে। মিনিট দশেক পর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনজনই একটি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে আসে।
পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, তিন ডাকাতের মধ্যে দু’জন সাদা টুপি এবং একজন লাল টুপি পরেছিল। বেসরকারি সংস্থার মালিকের অভিযোগ, তিনজন কাজের কথা বলে অফিসে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে তাদের মধ্যে একজন মালিকের মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে তাকে মারধর করে। টাকার ব্যাগটি কাছে রাখার কারণে মালিক বাধা দিলে তাকে আরও বেশি মারধর করা হয়। শেষে তাকে হাত-পা বেঁধে ১৫ লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ডাকাতির সঙ্গে বিহারের কিছু অপরাধী জড়িত থাকতে পারে। তারা কীভাবে পালিয়েছে, সেটা জানার জন্য পুলিশ পুরো এলাকা জুড়ে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে। একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, ডাকাতরা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বা বাসে করে হাওড়া স্টেশনের দিকে পালিয়েছে।
এদিকে, মধ্য কলকাতার পোস্তা এলাকায়ও আরেকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এক ব্যবসায়ীর ব্যাগ থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটে হাওড়ার লিলুয়ায়। ব্যবসায়ী স্ট্র্যান্ড রোড এবং কে কে টেগোর স্ট্রিটের সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন অপরাধীরা তার ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। ওই ব্যবসায়ী পোস্তা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কলকাতার পুলিশ প্রশাসন দুইটি ঘটনার সঙ্গেই তৎপরভাবে কাজ শুরু করেছে। তাদের গোয়েন্দা শাখা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ডাকাতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। পুলিশ আশাবাদী, দ্রুতই তারা অপরাধীদের ধরতে পারবে। তবে, শহরের মধ্যে বারবার এই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। তারা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া, পুলিশ প্রশাসন এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন। তাদের মতে, নিয়মিত পেট্রোলিং এবং সিসিটিভি নজরদারি বাড়ানোর মাধ্যমে শহরে অপরাধ কমানো সম্ভব।