গোরু পাচারকান্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, গত এক দশক মমতার ছত্রছায়ায় বীরভূমে স্বাধীনভাবে জেলা চালাত অনুব্রত।
গোরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইকে ঠিকমতো তদন্ত করতে হবে দাবি জানান সেলিম৷ তা না হলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি৷
সেলিম বলেন, অনুব্রত বীরভূমে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রীর ছত্রছায়ায়, তৃণমূলের দৌলতে, পুলিশ প্রশাসন, মস্ত গুন্ডা, চোর ছ্যাঁচড়া, ডাকাতদের সঙ্গী করে, পার্শ্বচর করেছে। শুধুমাত্র লুঠতরাজ করেছে, তোলাবাজি করেছে, সমান্তরাল প্রশাসন চালিয়েছে, মুক্তাঞ্চলের মতো করে। রাজ্যের মধ্যে একটা স্বাধীন জেলা হিসাবে সমস্ত কিছুর দায় এড়িয়ে গেছে।
মহম্মদ সেলিম বলেন, অনুব্রত পুলিশকে নির্দেশ দিচ্ছে কাকে গাঁজা কেস দিতে হবে। বিরোধী গোষ্ঠী ভোটে দাঁড়ালে ধানের গোলায় আগুন লাগাতে হবে৷ পুলিশ গাড়িতে গুলি মারো, বোমা মারো। সিপিএম কংগ্রেসের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছে, ধরে এনে দিলাম ৮ টার মধ্যে যা যা করার করবে কেস সাজাবে৷ ৯ টার মধ্যে যা করার করে দেবো। একেবারে সজ্ঞানে অপরাধ করেছে৷
তিনি বলেন, বগটুইয়ের ঘটনা দেখেছি। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। আসলে তোলা আদায় নিয়ে তৃণমূলের লোক তৃণমূলকেই খুন করল৷ বীরভূমে গেলেই দেখতে পাবেন জমির ওপর বালির খাদান তৈরি হয়েছে৷ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দফতরে বিরোধিতা দেখাতে গেলে বোমা মারা হচ্ছে৷ কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অসংখ্য সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি বাদল শেখকে খুন করা হয়েছে৷ আজও তার রক্ত বীরভূমের মাটি থেকে শোকায়নি৷ একটাও খুনে এফআইআরে জেলা পুলিশ, রাজ্য পুলিশ, সিআইডি কোনও পদক্ষেপ নেয়নি৷ তদন্ত হয়নি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেলিমের দাবি, ২০০৯ সাল থেকে জেলায় ঘটে যাওয়া সমস্ত হিংসার ঘটনার পিছনে জড়িত অনুব্রত মণ্ডল৷ বীরভূমে অনেক সিপিএম কর্মী খুন হয়েছেন৷ একটারও তদন্ত হয়নি৷ অনেক সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে৷ এমন একজনের হাতে জেলার রাশ ছেড়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত ঘটনা একসঙ্গে করে তদন্তের দাবি জানান৷