শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জড়িত। তাঁর অনুমোদন ছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে এত বড় কেলেঙ্কারি করা সম্ভব হতো না। এখন পার্থকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আত্মরক্ষা করতে চাইলেও পারবেন না। এমনই বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া সিপিআইএম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের।
বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার হওয়ার ৬ দিনের মাথায় রাজনৈতিক চাপের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পড়ুন কেন রসগোল্লার আতঙ্ক পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস:
TMC: যদি সিপিএমের বিকাশবাবু আইনি পথ নেন…তৃণমূলে ‘রসগোল্লা আতঙ্ক’
কোটি কোটি টাকা, একাধিক বাগানবাড়ি, অলঙ্কার, ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জির কাছে বিপুল অর্থ মজুত করা হয়েছিল। অভিযোগ, বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের জন্য মেধা তালিকা বহির্ভূতদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া টাকা জমা রাখতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চাকরি না পাওয়া মেধা তালিকাভুক্তরা এখনও ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন।
মামলাকারীদের প্রধান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, যে পথে তদন্ত চলছে, তেমন যদি তদন্ত চলে তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ এর পর থেকে নিয়োগ করেছে সব বন্ধ হবে। এই দায় পার্থর একার নয়। পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়ে আত্মরক্ষা করা যাবে না। এজন্য সমান অপরাধে অপরাধী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পদত্যাগ করুন। একটা স্বচ্ছ প্রশাসন তৈরি করে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করা হোক।