ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টে JN.1, মৃত্যুর ঝুঁকি কতটা? কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞকেরা

কোভিড-১৯—(Covid)  এই নামটাই এখনও বহু মানুষের মনে দুঃসহ স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে। লকডাউন, মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব, প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণা—সবকিছু যেন ফিরে আসছে নতুন (Covid)  করে।…

Covid: New Variant JN.1 Spreads in India — How Dangerous Is It? Here's What Experts Say

কোভিড-১৯—(Covid)  এই নামটাই এখনও বহু মানুষের মনে দুঃসহ স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে। লকডাউন, মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব, প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণা—সবকিছু যেন ফিরে আসছে নতুন (Covid)  করে। কারণ, আবারও ফিরে এসেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট JN.1। (Covid)  চিকিৎসকদের মতে, এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি আগের তুলনায় সংক্রমণ ক্ষমতায় কিছুটা বেশি হলেও বর্তমানে তা ততটা ভয়ঙ্কর নয়। তবে সতর্ক থাকা জরুরি।

ভাইরাসের স্বভাবই হল অভিযোজ(Covid)  

   

ভাইরাসের সবচেয়ে বড়(Covid)  বৈশিষ্ট্য হল তার অভিযোজন ক্ষমতা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে নিজের গঠন বদলে আরও বেশি কার্যকর ও সংক্রমণক্ষম হয়ে ওঠে। করোনাভাইরাসও তার (Covid)  ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েক বছরে আলফা, ডেল্টা, ওমিক্রনের মতো একাধিক ভ্যারিয়েন্টের সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব(Covid)  । এখন সেই তালিকায় নতুন সংযোজন JN.1, যা মূলত ওমিক্রনের একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাড়ছে উদ্বে(Covid)  

চিন, হংকং, সিঙ্গাপুরের মতো(Covid)  দেশগুলোতে ইতিমধ্যেই এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভারতেও। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ফের নতুন(Covid)  করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত দেশে সক্রিয় কোভিড কেসের সংখ্যা ১,০১০। যদিও সংখ্যাটি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে সংক্রমণের গতিবিধি উদ্বেগজনক।

কী বলছেন চিকিৎসকেরা?(Covid)  

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, JN.1 ভ্যারিয়েন্টটি তুলনামূলকভাবে কম মারাত্মক, তবে এটি অত্যন্ত দ্রুত ছড়াতে সক্ষম। এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হলে সাধারণত গলা ব্যথা, সর্দি, হালকা জ্বর,(Covid)  শুকনো কাশি, মাথা যন্ত্রণা এবং ক্লান্তি দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা ও গন্ধ-স্বাদের পরিবর্তনও হতে পারে।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে কোভিড ভ্যাকসিন(Covid)  নিয়েছেন বা অতীতে সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্ট বড় বিপদ ডেকে আনার সম্ভাবনা কম। তবে প্রবীণ নাগরিক, শিশু ও কোমরবিডিটির (যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ) রোগীদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন(Covid)  

কীভাবে রক্ষা পাওয়া সম্ভব?(Covid)  

যদিও কঠোর লকডাউনের মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি, তবুও চিকিৎসক ও প্রশাসনের তরফে কিছু নির্দেশিকা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে:

Advertisements

ভিড় এড়িয়ে চলা – বিশেষত যাঁরা বয়স্ক বা অসুস্থ।(Covid)  

মাস্ক পরা – হাসপাতাল, গণপরিবহন বা ভিড়ভাট্টার জায়গায় মাস্ক ব্যবহার অবশ্যই করা উচিত(Covid)  

হাত ধোওয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহার – নিয়মিত হাত ধোওয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহার এখনো জরুরি(Covid)  

সর্দি-কাশি থাকলে ঘরে থাকুন – অযথা বাইরে বেরোনো এড়িয়ে চলুন, এবং প্রয়োজনে করোনা পরীক্ষা করান।

বুস্টার ডোজ নেওয়া – যাঁরা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি, তাঁদের দ্রুত তা নেওয়া উচিত।(Covid)  

ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক বার্তা

বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সদা সতর্ক থাকতে হবে। যেহেতু JN.1 সংক্রমণ ক্ষমতায় শক্তিশালী, তাই নজরদারি ও পরীক্ষা আরও(Covid)  বাড়ানো প্রয়োজন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং হাসপাতালগুলিতে স্ক্রিনিং ব্যবস্থা জোরদার করার কথা বলা হয়েছে।

JN.1 এখনও ভয়ঙ্কর মহামারির রূপ নেয়নি, তবে এই ভাইরাসের ভবিষ্যৎ (Covid)  রূপ কেমন হবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। তাই আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বন করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। সরকার, চিকিৎসক ও জনগণ—তিন পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই সম্ভব হবে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। করোনা আমাদের শিখিয়েছে—সচেতন থাকাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র।