News Desk: দীপাবলি উৎসবের আগেই করোনার কালো ছায়া লম্বা হচ্ছে রাজ্যে। সংক্রমণের গতি উর্ধমু়খী। নবান্ন সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণের কারণে বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে ফের তৈরি হয়েছে ফের কোভিড ওয়ার্ড।
পূর্ব বর্ধমান, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ টি করে বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৬ টি জেলা এবং মহকুমা হাসপাতালেও ১০০ টি করে কোভিড বেড বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে।
পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে ৫০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড। দুই জেলার আরও ১০ টি ব্লকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও ২০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার থেকে অঘোষিত লকডাউন সোনারপুরে
কলকাতা ও সংলগ্ন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর-রাজপুর পুরসভা এলাকা। বৃহস্পতিবার থেকে এখানে চালু হচ্ছে এলাকা ভিত্তিক মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট জোন।
আরও পড়ুন: Covid 19: এই বুঝি করোনা হয়! ভয় নিয়ে দিন শুরু সোনারপুরে
উদ্বেগের কারণ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরকে নিয়ে। শারদোতসব মিটতেই এই ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছড়িয়েছে করোনা। প্রশাসনিক নির্দেশে ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর এই তিন দিন পুর এলাকার সমস্ত বাজার এবং দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ওষুধ সহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকান খোলা থাকবে। মঙ্গলবার রাজ্য সরকার রাজপুর-সোনারপুরে ১৯টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে। সংশ্লেষণ এলাকাগুলিতে কারোর ঢোকা ও বেরিয়ে আসায় কড়াকড়ি জারি।
চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা আফশোষ করছেন। তাঁদের বক্তব্য, শারদোতসবের সময় ভিড় ছিল লাগামছাড়া। অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসনকে বারবার সতর্ক করা হয়। কিন্তু উৎসবের সময় করোনা বিধির শিথিলতা করায় সংক্রমণ ফের ছড়াতে শুরু করেছে।
দুর্গাপূজার পর থেকেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। কলকাতার নিকটস্থ সোনারপুরের জনঘনত্ব বেশি। এর ফলে সংক্রমণের হার বাড়বে এমন আশঙ্কা বড় করে দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে কলকাতায় করোনা পজিটিভ রেট বেড়েছে। কলকাতার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে রাজ্য সরকারকে বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।