জাতি বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্যই আক্রান্ত গর্গ! বিস্ফোরক অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা

গতকাল ঘটে গেছে ডবল ধামাকা। বিজেপির কংগ্রেস কার্যালয় আক্রমণ করার পর তাদের সমবেদনা জানাতে যায় বাংলাপক্ষ (Congress)। সেখানেই কংগ্রেসের কয়েকজন হিন্দিভাষী নেতার হাতে আক্রান্ত হয়…

Congress

গতকাল ঘটে গেছে ডবল ধামাকা। বিজেপির কংগ্রেস কার্যালয় আক্রমণ করার পর তাদের সমবেদনা জানাতে যায় বাংলাপক্ষ (Congress)। সেখানেই কংগ্রেসের কয়েকজন হিন্দিভাষী নেতার হাতে আক্রান্ত হয় বাংলাপক্ষের গর্গ চ্যাটার্জী এবং কৌশিক মাইতি। তারপরে অনেক জল গড়িয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার অফিসিয়ালি জানিয়েছিলেন কোনো ভাষাকেই ছোট করার অধিকার কারুর নেই।

কংগ্রেসের আরেক নেতা প্রমোদ পাণ্ডে। বাংলাপক্ষ অভিযোগ করেছে গতকাল তিনিও বাংলাপক্ষকে আক্রমণ করেছিলেন। আজ একটি ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন জাতি জাতি বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্যই আক্রান্ত গর্গ। তার উচিত হয়নি সেখানে দাঁড়িয়ে হিন্দিভাষীদের নাম করে আক্রমণ করা।

   

গতকাল বিজেপি কর্মীরা কংগ্রেস কার্যালয়ে হামলা চালায়। যার পেছনে ছিল বিহারে রাহুল গান্ধীর ‘ভোটাধিকার যাত্রা’র মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য। এই ঘটনার পর বাংলাপক্ষ কংগ্রেস কার্যালয়ে সমবেদনা জানাতে গেলে কংগ্রেসের কয়েকজন হিন্দিভাষী নেতার সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এই বিতণ্ডা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

গর্গ চ্যাটার্জী ও কৌশিক মাইতি আক্রান্ত হন। বাংলাপক্ষ অভিযোগ করেছে যে কংগ্রেস নেতা প্রমোদ পাণ্ডে এই হামলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং হিন্দিভাষীদের পক্ষ নিয়ে বাংলাপক্ষের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এই ঘটনার পর এক বিবৃতিতে বলেন, “কোনো ভাষাকে ছোট করার অধিকার কারও নেই।

আমরা সকল ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখাই।” তবে, বাংলাপক্ষের অভিযোগ, কংগ্রেসের এই বিবৃতি কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকতা, এবং প্রমোদ পাণ্ডের মতো নেতারা বাঙালি সংগঠনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মনোভাব পোষণ করছেন। বাংলাপক্ষের এক মুখপাত্র বলেন, “গর্গ চ্যাটার্জী ও কৌশিক মাইতি শান্তিপূর্ণভাবে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন।

Advertisements

কিন্তু কংগ্রেসের হিন্দিভাষী নেতারা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। প্রমোদ পাণ্ডে বাঙালিদের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন।”প্রমোদ পাণ্ডে তাঁর ভিডিও বার্তায় বলেন, “গর্গ চ্যাটার্জী হিন্দিভাষীদের নাম করে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন, যা জাতিবিদ্বেষী। তিনি কংগ্রেস কার্যালয়ে এসে উসকানিমূলক কথা বলেছেন, যার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।

আমরা কোনো ভাষা বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু গর্গের মতো ব্যক্তিরা জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি করছেন।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাপক্ষের এই ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের উচিত সকল সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান দেখানো।”এই ঘটনা বাংলাপক্ষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকেও সামনে এনেছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলেছে বাংলাপক্ষের নেতাদের উপর হামলা তাদের গুন্ডামির প্রমাণ।” আরেক অংশ দাবি করেছে যে এই ঘটনা এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে জাতিগত ও ভাষাগত বিভেদের ইস্যুকে আরও উসকে দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা আগামী নির্বাচনের আগে রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।