দলবদলের রাজনীতিতে ফের উত্তাল দার্জিলিং–সহ গোটা উত্তরবঙ্গ। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা (Shankar Malakar) এবং দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শংকর মালাকারের (Shankar Malakar) তৃণমূল যোগ নিশ্চিত হতেই, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল কংগ্রেস। বুধবার দুপুরেই তাঁকে সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক সমীকরণে বড়সড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল(Shankar Malakar)
৭০ বছর বয়সি শংকর মালাকার কংগ্রেস ঘরানায় দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মুখ। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত দশ বছর ধরে(Shankar Malakar) মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র(Shankar Malakar) থেকে নির্বাচিত হয়ে বিধায়ক ছিলেন তিনি। শুধু জনপ্রতিনিধি হিসেবেই নয়, সংগঠক হিসেবেও শংকরবাবু(Shankar Malakar) উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের ভিত মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে তপসিলি সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর প্রভাব চোখে পড়ার মতো। এই জনভিত্তিকে কাজে লাগিয়েই দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি গড়ে তুলেছিলেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি অঞ্চলে(Shankar Malakar)
কিন্তু সাম্প্রতিককালে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানে পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছিল।(Shankar Malakar) একাধিক বার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কংগ্রেসের (Shankar Malakar) অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। (Shankar Malakar) অবশেষে সেই জল্পনার অবসান হল। জানা গিয়েছে, আজ বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছেন শংকর মালাকার। ঘাসফুল শিবির সূত্রে খবর, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে ফের মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করার সম্ভাবনা প্রবল(Shankar Malakar)
এই দলবদলের খবর সামনে আসতেই, কড়া (Shankar Malakar) প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার নির্দেশে তাঁকে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি-সহ (Shankar Malakar) জাতীয় কংগ্রেসের যাবতীয় সাংগঠনিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই অপসারণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও(Shankar Malakar) ব্যাখ্যা দেয়নি কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে কংগ্রেস নেতারা স্বীকার করছেন, বর্ষীয়ান নেতার এই দলত্যাগ দলের পক্ষে বড় ধাক্কা। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের সংগঠনে তাঁর ভূমিকা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, একাধিক জায়গায় প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।(Shankar Malakar)
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বিপুল সাফল্য পেলেও, উত্তরবঙ্গে সেভাবে দাপট দেখাতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু পরবর্তী (Shankar Malakar) সময়ে, বিশেষত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে, উত্তরবঙ্গেও ঘাসফুল শিবির সংগঠন মজবুত করতে সচেষ্ট হয়। এই পরিস্থিতিতে শংকর মালাকারের মতো নেতার তৃণমূলমুখী হওয়া যে ঘাসফুল শিবিরের জন্য বড় সাফল্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না(Shankar Malakar)
অন্যদিকে, কংগ্রেসের অন্দরে চাপা ক্ষোভ(Shankar Malakar) বাড়ছে। একাংশ নেতার অভিযোগ, দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনীহাই এই ধরনের দলত্যাগের কারণ। সংগঠনে একযোগে কাজের পরিবেশ(Shankar Malakar) নেই বলেই দীর্ঘদিনের নেতারা অন্য দলে পা রাখছেন। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্ব এখন সংগঠন ধরে রাখতেই ব্যস্ত। শংকর মালাকারের জায়গায় আপাতত চারজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে—সুবীন ভৌমিক, অলকেশ চক্রবর্তী-সহ আরও দুই নেতা দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের কার্যভার সামলাবেন(Shankar Malakar)
সব মিলিয়ে, শংকর মালাকারের দলবদল শুধু একটি(Shankar Malakar) নেতার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ ও সংঘাতের সূত্রপাত। এখন দেখার, তৃণমূলে গিয়ে তিনি কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন এবং কংগ্রেস এই ধাক্কা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না(Shankar Malakar)