গত সোমবারই নবান্নে পুর-পরিষেবা ও সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা, হাওড়া, বিধাননগর সহ বাংলার সব শহরে বেআইনি জবরদখল ও উচ্ছেদ অভিযানে চালাচ্ছে বিভিন্ন পুর প্রশাসন ও পুলিশ। এই অভিযান ঘিরে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। সরব হয়েছেন বিরোধী নেতারা। এসবের মধ্যেই আগামিকাল (বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪) ফের নবান্নে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীবারের বৈঠকে কলকাতা, বিধাননগর সহ পুর নিগম ও পুরসভার চেয়ারম্যান, সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকদের হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছে, কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগর কমিশনারেটের আওতাধীন সব থানার ওসি, আইসি’দের।
Eastern Railway: ট্রেনে উঠতে অভ্যাস বদলান! যাত্রীদের বলল রেল
পুলিশ প্রশাসনের হকার উচ্ছেদে অভিযান ঘিরে উদ্বেগ বেড়েছে শহরের অনুমোদনহীন হকারদের। সরানো হচ্ছে সরকারি জমির জবরদখলকারীদেরও। অনেকেই প্রসাশনের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। অনেকের আবার প্রশ্ন, এইসব হকাররা বহুদিন ধরেই শহরের ফুটপাত বা অন্য জায়গায় বসছেন। কেন শুরুতেই প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল না?
হকার উচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শহর থেকে জবরদখলকারী সরানো ও বেআইনি হকার উচ্ছেদকে তিনি সমর্থন করলেও পুলিশি অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কেন হকারদের বিরুদ্ধে অভিযানের আগে নোটিস দেওয়া হল না তা নিয়েই সরব শুভেন্দু। কবে মেটিয়াবুরুজ, রাজাবাজার থেকে হকার উচ্ছেদ হবে সে প্রশ্নও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।