আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মৃত ছাত্রীর সোদপুরের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী। নিহত ছাত্রীর বাবা, মায়ের সঙ্গে কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার পরদিনই নিহত ছাত্রীর বাবা জানিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছিল। ন্যায্য বিচারের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
আরজি কর কাণ্ডের পরই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়। সরকারি হাসপাতালে পড়ুয়াদের, বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গর্জে ওঠেন ডাক্তারি পড়ুয়া, চিকিৎসক মহল সহ আম জনতা। তারপরই গত শুক্রবার কড়া বিবৃতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন পরিবার যদি খুনের ঘচনার তদন্তে সিবিআই চায় তবেও তাঁর আপত্তি নেই। প্রয়োজনে অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, নিহত ডাক্তারের উপর নারকীয় অত্যাচার ও খুনের বিরুদ্ধে পরিবার কী ধরনের পদক্ষেপ চাইছেন, তদন্তের বিষয়ে তাঁদের কোনও বক্তব্য রয়েছে কি না, এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে সরাসরি নিহত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর জি কর হাসপাতাল কাণ্ডে আরও তিন চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ কলকাতা পুলিশের
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। মঙ্গলবারই তার শুনানির কথা। সিবিআই না হলেও অন্য কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা যাতে দায়িত্ব নেয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ডাকে গোটা রাজ্যজুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়া ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরজি করের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে। শুরু হয়েছে তদন্ত। হাসপাতালের পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।সত্য দ্রুত সামনে আসবে বলে দাবি করেছে পুলিশ। সোমবারই নির্যাতিতার সঙ্গে শেষপর্যন্ত থাকা চার জুনিয়র ডাক্তারকে তাঁরা তলব করেছে লালবাজারে। ইস্তফা দিয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।