একুশের মঞ্চ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বিরাট ঘোষণা মমতার

লোকসভা ভোটে অন্যতম প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই লক্ষ্মীর ভান্ডারের কারণেই গ্রাম বাংলা ঢেলে ভোট দিয়েছে মমতার তৃণমূলকে।…

Portrait of Mamata Banerjee, Chief Minister of West Bengal, standing in front of a 'Lakshmir Bhandar' sign

লোকসভা ভোটে অন্যতম প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই লক্ষ্মীর ভান্ডারের কারণেই গ্রাম বাংলা ঢেলে ভোট দিয়েছে মমতার তৃণমূলকে। একুশের মঞ্চেও চলে এল লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রসঙ্গ। তৃণমূল সুপ্রিমো সাফ জানিয়ে দিলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার চলবে। যারা আবেদন করেছেন, অথচ টাকা পাননি, তাঁদের চিন্তার কিছু নেই। পুজোর পরেই সবাই টাকা পেয়ে যাবেন। মমতার এই ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বাংলার লক্ষ লক্ষ মা-বোন।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লক্ষীর ভান্ডার কিছু পড়ে আছে। পুজোর পরে তারা পেয়ে যাবেন। বিধবা ভাতা কিছু পড়ে আছে। পুজোটা হয়ে যাক আমরা এগুলো ততক্ষণে রিভিউ করে নেব। লক্ষ্মীর ভান্ডার ২ কোটিরও বেশি মহিলাকে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে মমতা বলেন, আমরা ৪৩ লক্ষ বাড়ি, এই ১২ বছরে করে দিয়েছি। কিন্তু ১১ লক্ষ লোকের বাড়ি এখনও তালিকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পড়ে আছে। তাঁরা করে দেয়নি। ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরি জন্য মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেবেন বলে জানান মমতা।

   

লোকসভা ভোটে ২৯টি আসন তৃণমূলকে দেওয়ার জন্য বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানান মমতা। তাঁর কথায়, বাংলার মানুষকে আমি স্যালুট জানাই। এত চমকানি, ধমকানি, নির্বাচন কমিশনের একপেশে ভূমিকা সত্ত্বেও বাংলার মানুষ আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন। বাংলায় আমরা তিনটে দলের সঙ্গে লড়েছি। বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করে আমাদের জিততে হয়েছে।

একুশের মঞ্চে বক্তৃতায় সাংঘাতিক ভুল মমতার! এ কী বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো?

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মীর ভান্ডার। বাড়ির মহিলাদের হাতখরচের টাকা জোগানের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি পরিবারের মহিলাদের জন্য সরকারের তরফে মাসিক একটি ভাতা দেওয়া হয়। প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পান জেলারেল ক্যাটাগরির মহিলারা। আর তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা করে পান।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে তৃণমূল। ভোটে জেতার কয়েক মাসের মধ্যে এই প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের ১৬ অগস্ট থেকে চালু হয়েছিল এই প্রকল্প। ২৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হন। যথাযথ ভাবে আবেদন করলে একই পরিবারের একাধিক মহিলা এই প্রকল্পে মাসিক ভাতা পেতে পারেন।

একুশের মঞ্চে মমতার মুখে হিংসাবিধ্বস্ত বাংলাদেশ! দিলেন বিরাট বার্তা