৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস দেহ। এরপর এই ঘটনার অনেকদিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত বিচার পাননি নির্যাতিতা ও তার পরিবার। এরই মধ্যে এই মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের বিচার চেয়ে এর প্রতিবাদে দিকে দিকে পথে নামছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে ফের বঙ্গ বিজেপি (BJP) আজ অর্থাৎ ২৯ অগাস্ট থেকে শুরু করে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ করার অনুমতি পেয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের কাছ থেকে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানার ‘হোয়াটস্যাপ চক্রান্ত’ ফাঁস, পুলিশের জালে ৫
কিন্তু এবার বিজেপির (BJP) এই ধর্ণা মঞ্চ বাঁধা নিয়েই বিক্ষোভের আগের দিন থেকে দানা বাঁধল বিতর্কের। প্রথমে কলকাতা পুলিশের (Kolkata police) তরফ থেকে এই অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি বিজেপি না পেলেও পরবর্তীকালে হাই কোর্ট এর অনুমতি দেয়। আর হাই কোর্টের অনুমতি অনুযায়ী ডোরিনা ক্রসিং কিংবা ওয়াই চ্যানেলে মঞ্চ বাঁধতে পারবে বিজেপি। কিন্তু বিজেপি সেই দাবি মানেনি বলে দাবি রাজ্য পুলিশের। বুধবার রাতে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে এই মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হলে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
ফোঁস মন্তব্য-জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি! বিতর্ক বাড়তেই তড়িঘড়ি সাফাই দিলেন মমতা
এরপরে বিজেপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে সেখানে উপস্থিত হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে এসে তিনি জানান যে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশমতো ডোরিনা ক্রসিংয়ে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হলে পুলিশ এসে তাতে বাঁধা দেন। এর পাশাপাশি পদ্ম শিবিরের অভিযোগ ডোরিনা ক্রসিংয়ে অনুমতি মিললেও ওয়াই চ্যানেলে মঞ্চ তৈরী করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এবার ‘ত্রিফলা’ অভিযান! নবান্ন অভিযান-বিজেপির বনধ নিয়ে চর্চার মাঝেই ছাত্রদের পরামর্শ শুভেন্দুর
সেইসঙ্গে পদ্ম শিবিরের আরও দাবি, ওয়াই চ্যানেল এবং ডোরিনা ক্রসিং দুটোর যেকোন একটি জায়গাতে তিরিশ ফুট বাই কুড়ি ফুটের মঞ্চ গড়ে ধর্নার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তবে শেষ পর্যন্ত ডোরিনা ক্রসিংয়েই ধর্ণা মঞ্চ বেঁধে আরজি কর কাণ্ডের জেরে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। যদিও জানা গেছে, বিজেপির এই মঞ্চ বাঁধা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য পুলিশ।