আরজি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয়, সাজা ঘোষণা সোমে

কলকাতা: আরজি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত একমাত্র ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তবে আজ সাজা ঘোষণা হল না৷ আগামী সোমবার দুপুর ১২টায় রায় দেবে আদালত,…

What kind of work might Sanjay have to do in jail

short-samachar

কলকাতা: আরজি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত একমাত্র ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তবে আজ সাজা ঘোষণা হল না৷ আগামী সোমবার দুপুর ১২টায় রায় দেবে আদালত, জানালেন বিচারক অনির্বাণ দাস।

   

একমাত্র ধৃত সঞ্জয়কেই দোষী মানল আদালত

গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের চার তলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহ৷ তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ৷ সেমিনার রুম থেকে পাওয়া তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে৷ পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই৷ তাদের চার্জশিটে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে সঞ্জয়ের নামই উল্লেখ করা হয়৷ আজ, শনিবার ছিল আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা৷ বিচারপর্ব শুরু হয়েছিল ঘটনার ৫৯ দিনের মাথায়। আর ১৬২ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করল আদালত। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়৷ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হল সিভিক ভলেন্টিয়ারকে৷ 

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার 

হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ঘটনার রাতে চারতলার ওই সেমিনার হল-এ ঢুকছেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়৷ কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে বেরিয়ে যেতেও দেখা যায় তাঁকে। ঘটনার পর দিনই অর্থাৎ, ১০ অগস্ট তাঁকে গ্রেফতার করে টালা থানার পুলিশ৷ 

এদিন রায় ঘোষণার সময় বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হল৷ রায় শোনার পরই চোখে ভিজে যায় নির্যাতিতার বাবার। তিনি বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনার উপর আমাদের আস্থা ছিল৷ আপনি সেই আস্থার পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন।’’ বিচারক দাস তখন বলেন, ‘‘সোমবার আসুন।’’ 

অপরাধ কবুল করতে নারাজ সঞ্জয়

যদিও এদিনও নিজের অপরাধ মানতে চাননি সঞ্জয়৷ বিচারক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘সিবিআই এবং সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে আপনাকেই দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। আপনার সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।’’ বিচারকের কথা শুনেই সঞ্জয় বলে ওঠেন, ‘‘আমি কিছু করিনি। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে। আমার কথাটা এক বার শুনুন।’’ বিচারক রায় ঘোষণা করে বলেন, ‘‘সোমবার আপনার কথা শোনা হবে৷’’