ভয়ঙ্কর সেই রাতে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার আরজি কর মেডিক্যালের মধ্যে নির্যাতিতাকে চোখে চোখেই রেখেছিলেন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ সেই রাতে হাসপাতালের একটি সিসিটিভি পেয়েছে। তাতেই ধৃতের নজরবন্দির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। ওই সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সাফ যে, ধৃত সঞ্জয় রায় ৯ অগস্ট অপরাধের আগে রাতে আরজি কর হাসপাতালে সেমিনার রুমের দিকে প্রবেশ করছেন
এই ফুটেজে, সঞ্জয় রায়কে জিন্স এবং একটি টি-শার্ট পরা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, হাতে একটি হেলমেট – যা কলকাতা পুলিশকর্মীদের ইউনিফর্মের উল্লেখযোগ্য অংশ। এছাড়াও ফুটেজে সঞ্জয় রায়ের গলায় একটি ব্লুটুথ ডিভাইস দেখা যাচ্ছে। একই ডিভাইস যা পরে পুলিশ উদ্ধার করেছিল এবং বর্তমানে যা চলমান তদন্তের অন্যতম অংশ।
‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিবিআই-এর জেরার মুখে নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছে ধৃত অভিযুক্ত। সে আরও জানিয়েছে, হামলার আগে, ৮ অগস্ট টেস্ট মেডিসিন ওয়ার্ডে ৩১ বছর বয়সী নির্যাতিতার উপর নজর রেখেছিল সে। সিসিটিভি ফুটেজে তার এই দাবি সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে।
লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের ফেরৎ ফর্ম! এবার প্রতি-আক্রমণে তৃণমূল, রাজ্যের কাছে বড় দাবি কুণালের
অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিরয়ের ‘যৌন বিকৃতি’ আছে এবং তার প্রবৃত্তি ‘পশু-সদৃশ’ বলে জানিয়েছে সিবিআই-এর সূত্র। আরও জানিয়েছে, যে ঘটনায় গোটা দেশ হতবাক, ক্ষুব্ধ, সেই ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধৃতর মধ্যে কোন অনুশোচনা দেখা যায়নি।
এই ঘটনার বিষয়ে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর জন্য একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবারের পর, বৃহস্পতিবারও চিকিৎসকদের কর্মবরতিতে ইতি টেনে কাজে ফেরার আবেদন করেছিল। আদালত আরও আশ্বাস দিয়েছে, আন্দোলন করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিকূল ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই আবেদনের পর, দিল্লির এইমসের এর ডাক্তাররা তাদের ১১ দিনের ধর্মঘট শেষ করেছেন এবং আবার কাজ শুরু করেছেন। রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আদালতের আশ্বাসে তারা কাজেফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, কর্মবিরতির পথ থেকে এখনই সরছে না পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন, জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। তারা জানিয়েছে, তদন্তের গতিপ্রকৃতি ইতিবাচক না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি জারি থাকবে তাদের।