আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) বর্তমানে তোলপাড় গোটা দুনিয়া। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে আনেনি সিবিআই। তবে আরজি করের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পরেই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রাই। এরপরে এই ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে কিছুদিন আগে ধৃত সঞ্জয় রাইয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছিল।
মূলত, এই ঘটনায় তদন্তের গতি-প্রকৃতি এগিয়ে নিয়ে যেতেই ধৃতের এই টেস্ট করেছিল সিবিআই। সেই পরীক্ষায় সঞ্জয় রাইকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। যদিও সেই পলিগ্রাফ টেস্ট থেকে কী কী তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা জানা যায়নি। কিন্তু এই নৃশংস ঘটনার আরও তথ্য সংগ্রহ করতে এবার পলিগ্রাফের পর সঞ্জয়ের নার্কো টেস্ট করার পথে এগিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এই টেস্টের জন্য শিয়ালদহ আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর প্রেসিডেন্সি জেল থেকে শিয়ালদহ কোর্টে আনা হয় চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রাইকে। আজকে অর্থাৎ শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে সিবিআইকে আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রাইয়ের নারকো টেস্ট করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত।
কিন্তু আদালতে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের আইনজীবী জানায় যে, অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের নারকো টেস্টের জন্য সম্মতি নেই। এরপরেই সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ হয়ে যায় আদালতে। প্রসঙ্গত, জটিল অপরাধ সংক্রান্ত কোনও মামলায় প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট না হলে, তখন নারকো টেস্টের মাধ্যমে সত্যিটা বের করার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। নারকো পরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্নায়ুতন্ত্রে চাপ দেওয়া হয়ে থাকে।
এই টেস্টের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শিরায় ওষুধ প্রবেশ করানো হয়। সেটার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অ্যানাস্থেশিয়ার বিভিন্ন ধাপে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক চেতনায় না রেখে আচ্ছন্ন করে রাখা হয়। আর ঠিক সেইসময় অপরাধ সংক্রান্ত সম্ভাব্য সত্য বেরিয়ে আসার প্রবণতা থাকে প্রবল। চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে প্রশ্ন করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নারকো টেস্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মতির প্রয়োজন হয়। এবার সেটাতেই রাজি হলেন না ধৃত সঞ্জয় রাই।