১০ জুনের মধ্যে আদালতের সামনে পেশ করতে হবে রিপোর্ট৷ তাই তদন্তে গতি বাড়াল সিবিআই (CBI)। শনিবার রবিবারের পর মঙ্গলবার ফের চলল চিরুনি তল্লাশি চালাল সিবিআই৷ সিবিআইয়ের দুটি দল মিলে এদিন তল্লাশি অভিযান চালায়৷ খতিয়ে দেখা হয়েছে বিভিন্ন নথিপত্র এবকং হার্ড ড্রাইভ।
সিবিআই সূত্রে খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশ পত্রের একাধিক তথ্য হাতে এসেছে। সেখানে বেশীরভাগ সই রয়েছেন প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির আহবায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহার৷ সেই কমিটি গঠন হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলেই। এর ফলে যে পার্থর ওপর বাড়তি চাপ পড়বে সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
অন্যদিকে, মামলায় আরও নথি পেতে সোমবারেই তলব করা হয়েছিল মামলাকারীদের। সেখানেই বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই। অভিযোগ, আবেদন না করেই সুপারিশপত্র পেয়েছেন অনেকেই।
অভিযোগ, গ্রুপ সিতে বেআইনি নিয়োগের সংখ্যা ৩৮১ জনের থেকেও বেশী। একাধিক জায়গায় চাকরিপ্রার্থীরা উপস্থিত হলে শিক্ষক অথবা পরিচালন সমিতির বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্কুলগুলিকে বাধ্য করা হয়েছে নিয়োগের জন্য। এমনটাও অভিযোগ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
গত শনিবার থেকেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভবন আচার্য সদনে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেখান থেকে একাধিক নথি, ফাইল হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সূত্রের খবর, সোমবার তিন মামলাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। গ্রুপ সি এবং নবম-দশম শ্রেণীর নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা জানতে তিন মামলাকারীদের তলব করা হয়। সোমবার হাজিরা দেন তিন জন।
সেখানেই মামলাকারীদের কাছ থেকে নিয়োগ দুর্নীতির একেবারে শিকড়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করে সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, কিসের ভিত্তিতে মামলাকারীরা মামলা করেছিলেন? লিস্টে তাঁদের নাম কতপ নম্বরে ছিল? তাঁদের কাছে কী কী নথি রয়েছে? দুর্নীতি সম্পর্কে তাঁরা কীভাবে নিশ্চিত হলেন? কোন কোন তথ্য ও নথি রয়েছে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে? সমস্ত কিছু জানতে চায় সিবিআই আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, নিজাম প্যালেসে বুধবার উপস্থিত হবেন ববিতা সরকার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ যে রহস্য রয়েছে, তার গভীরে যেতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ববিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টায় সিবিআই।