দেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই (CBI) এর হাতে গ্রেপ্তার হলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর চিন্তন রঘুবংশী। এই গ্রেফতারি ঘিরে কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছিল, আর সেই তদন্তেই উঠে আসে ডেপুটি ডিরেক্টরের নাম। (CBI) সিবিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘুষ গ্রহণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সূত্র অনুযায়ী, অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি (CBI) একাধিক বড় মামলায় অভিযুক্তদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তদন্তে হস্তক্ষেপ করেছেন। এর ফলে তদন্ত (CBI) ধীরগতি পায় এবং নির্দিষ্ট অভিযুক্তরা সুবিধা পান। এমনকি কিছু মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলেও(CBI) দেরি হয় বলে জানা যাচ্ছে। এই দুর্নীতির বিনিময়ে মোটা অঙ্কের ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই।
সিবিআই আধিকারিকরা জানান, এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার মুহূর্তেই হাতেনাতে ধরা হয় ওই ডেপুটি ডিরেক্টরকে। তাঁর দফতর ও বাসভবনে(CBI) তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, এই দুর্নীতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকারও বেশি।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট একটি (CBI) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, যারা অর্থ পাচার, বেআইনি আর্থিক লেনদেন এবং বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত অপরাধ তদন্তে নিযুক্ত। সেই সংস্থারই একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়া এবং গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা বড় ধরনের প্রশাসনিক ব্যর্থতা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধীরা বলছে, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে বর্তমান সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, যখন এই সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা হারায়, তখন তার মধ্যেই দুর্নীতির শেকড় গজায়। অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফে এখনও পর্যন্ত এই গ্রেফতারি নিয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি(CBI)
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করতে কড়া(CBI) পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে, দেশের একাধিক হাই-প্রোফাইল মামলার তদন্তে যুক্ত এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং গ্রেফতারি প্রশাসনিক(CBI) স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। এই ঘটনায় শুধু ইডি নয়, গোটা কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যবস্থা ও সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এখন দেখার, এই তদন্ত কতদূর গড়ায় এবং এর পরিণাম কী হয়।