শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Corruption) তদন্তে জড়িয়ে যাওয়া মডেল-অভিনেত্রী হৈমন্তী (Haimanti Ganguly) কি দেশে আছে নাকি নেপালে ঢুকে লুকিয়ে আছে এই প্রশ্নে সরগরম রাজ্য। তৃ়ণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ গোপাল দলপতির স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই দুজনে নিরুদ্দেশ হয়। তবে দলপতি দিল্লিতে। সে জানিয়েছে হৈমন্তীর বিষয়ে জানে না জলদি ডিভোর্স হবে।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়কে জড়িয়ে টাকার লেনদেন নিয়েও মুখ খুলতে দেখা গেছে তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। কিন্ত হৈমন্তী পলাতক। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর দাবি ছিল, হৈমন্তী মালদা ঘুরে নেপাল চলে গেছে। এক তৃণমূল বিধায়কের মদতে মালদা থেকে বিহার অথবা নেপাল চলে গেছে হৈমন্তী।
তৃণমূলের এক বিধায়ক তাঁকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। এমনকি সেই বিধায়ক কিনা হৈমন্তীকে বিহারে অথবা নেপালে পালাতে সাহায্য করেছে। সিবিআই অফিসাররা এই দাবির সত্যতা যাচাই করছেন। সিবিআই মনে করছে দেশ ছাড়তে পারেন গোপাল দলপতির প্রাক্তন স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়।
তাঁর ছবি ও প্রামাণ্য নথি পাঠিয়ে লুক আউট নোটিশ জারি করল সিবিআই। কোথাও তাকে দেখা মাত্রই আটক করা হবে।
বিজেপি সাংসদের দাবি, সোমবার মাঝরাতে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের মালদহের চাঁচলে একটি হোটেলে আত্মগোপন করেছিলেন। রাত কাটিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন তিনি।
বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, কোন বিধায়ক এর সঙ্গে যুক্ত? সেটা প্রমাণ করতে হবে সাংসদকে। এমনকি কোন লজে ছিলেন হৈমন্তী সেখানেও প্রমাণ দিতে হবে। সম্ভবত খগেনবাবুর অন্য কোনও কাজ নেই। তাই তিনি এসব দেখে বেড়াচ্ছেন। এসব না করে তিনি সরাসরি থানায় অভিযোগ করতে তো পারেন