আরজি কর মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

কলকাতা হাইকোর্টের বিরাট নির্দেশ। আরজি কর(RG Kar medical college) মামলায় অবশেষে সিবিআই (CBI) নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি কর চিকিৎসক খুনে তদন্তের ভার দ্রুত কলকাতা…

Calcutta high court summons panal of teacher recruitment during cpim regime

কলকাতা হাইকোর্টের বিরাট নির্দেশ। আরজি কর(RG Kar medical college) মামলায় অবশেষে সিবিআই (CBI) নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি কর চিকিৎসক খুনে তদন্তের ভার দ্রুত কলকাতা পুলিশের হাত থেকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মামলার কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখেই এই নির্দেশ দিলেন। একই সঙ্গে হাই কোর্ট জানায়, রাজ্যের হাতে থাকা সব তথ্য এবং নথি সিবিআইকে দিতে হবে। 

দেওয়াল লিখন আঁচ করেই শোরগোল ফেলা আর্জি ‘পুরষ্কৃত অধ্যক্ষ’ ডাঃ সন্দীপের

   

এইদিন কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে যে, সিসিটিভি ফুটেজও সিবিআইকে তুলে দিতে হবে। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট কলকাতা পুলিশের উপর এই তদন্তভার না রেখে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গে জানায়, পুলিশ এবং হাসপাতালের ভূমিকায় কোর্ট সন্তুষ্ট নয়। শুধু তাই নয়, কলকাতা পুলিশের কেস ডায়েরি নিয়েও সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশকে কটাক্ষ করে জানায় যে পাঁচদিন পরেও কেসে উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি নেই। সেই সঙ্গে সন্দীপ ঘোষকে অধ্যক্ষ হিসেবে কোথাও নিয়োগ করা যাবে না। 

হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

সোমবার নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা পুলিশকে আগামী রবিবার পর্যন্ত তদন্তের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। তিনি এও উল্লেখ করেছিলেন যে রবিবারের মধ্যে যদি তদন্তে অগ্রগতি না হয় তাহলে কেস সিবিআইকে তুলে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তার আগেই বেনজির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জনস্বার্থ মামলায় মূলত তিনটি আবেদন করা হয়েছিল হাই কোর্টে। তার মধ্যে প্রধান হল নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করানো। আবেদনকারীদের বক্তব্য, সিবিআই বা অন্য কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক। যে সংস্থার উপর রাজ্যের প্রভাব থাকবে না। এ ছাড়াও ওই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, অবিলম্বে তদন্ত করে তা প্রকাশ্যে আনার আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারীরা। সেই আবেদনে সাড়া দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

আদালত জানিয়েছে, তিন সপ্তাহের পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আরজিকর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হলে নৃশংসভাবে খুন করা হয় মেডিক্যালের ছাত্রীকে। ওই ঘটনায় এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মোট পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মৃতার পরিবারও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সেই সব তথ্য থেকে স্পষ্ট, যুবতীকে নৃশংস ভাবে অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তার প্রমাণ মেলেনি।