যাদবপুর: মঙ্গলের সকালে অমঙ্গল৷ বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় ফের মৃত্যু কলকাতায়। এদিন সকালে তিন বছরের মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা-মা৷ বাইকে করে যাচ্ছিলেন তাঁরা৷ বাইক চালাচ্ছিলেন শিশুটির বাবা৷ সেই সময়ই ঘটে অঘটন৷ এস-৩১ রুটের একটি সরকারি বাস এসে সজোরে ধাক্কা মারে তাঁদের বাইকে৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মায়ের। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্বামী। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছে শিশুকন্যাটি। শিশুটির বাবাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় EDF হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি৷
জানা দিয়েছে, বছর ২৮-এর দেবশ্রী মণ্ডল বাঘাযতীনের বাসিন্দা৷ এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ স্বামীর বাইকে চড়ে মেয়েকে স্কুলে দিতে যাচ্ছিলেন তিনি৷ এইট বি বাস স্ট্যান্ড ছাড়িয়ে কিছুটা এগিয়েছিলেন তাঁরা৷ সেই সময়ই এস-৩১ রুটের সরকারি বাস তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়ে যান দেবশ্রী৷ তাঁকে পিষে দেয় বাসের চাকা।
গতকাল রাতেও শহরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। বেহালায় বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক সাইকেল আরোহী মহিলার। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পর্ণশ্রী পলিটেকনিক কলেজের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে৷
শহরে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় দুর্ঘটনার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে৷ যা চিন্তায় রেখেছে পরিবহন দফতরকে। বাসের অতিরিক্ত বাড়বাড়ন্তে রুখতে নতুন অ্যাপ এনেছে সরকার৷ কিন্তু, তা সত্ত্বেও কোনও চালকের হুঁশ ফেরেনি৷
বছরের শুরু থেকেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে৷ গার্ডরেলে ধাক্কা মেরে ফুটপাথে উঠে গিয়েছিল একটি মিনিবাস। মারা যান এক বৃদ্ধা। তার আগে দু’টি বাসের রেষারেষির বলি হতে হয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে৷ এর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, বাসের রেষারেষি বন্ধ করতেই হবে৷ বাস চালকদের ওপর নজরদারির চালাতে অ্যাপ আনার কথাও ঘোষণা করা হয়৷ সেই অ্যাপ চালু হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু, চালকদের মধ্যে কোনও পরিবর্তন আসেনি৷