Breaking: হার মানল পুলিশ, লালবাজারের দিকে মিছিল এগোনোর অনুমতি পেল আন্দোলনকারীরা

Breaking: শেষ পর্যন্ত আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি কিছুটা হলেও মানতে বাধ্য হল পুলিশ। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি ছিল বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থল পর্যন্ত তাঁদের…

Breaking: শেষ পর্যন্ত আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি কিছুটা হলেও মানতে বাধ্য হল পুলিশ। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি ছিল বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থল পর্যন্ত তাঁদের এগোতে দিতে হবে। এবার সেই দাবি মেনে ব্যারিকেডের অপর প্রান্তে আরও একশো মিটার আন্দোলনকারীদের এগোতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হল। ইতিমধ্যেই ফিয়ার্স লেনে ব্যারিকেড সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। সেখান থেকে ২২ জনের প্রতিনিধিদল লালবাজারে প্রবেশ করবে। এরপর তাঁরা সেখানে গিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন। ব্যারিকেড সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হতেই আন্দোলনকারীদের মধ্যে উচ্ছাস দেখা গিয়েছে। ব্যারিকেডের সামনে আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা সমস্বরে গান গাইছেন, ‘আমরা করব জয়…..’.

ব্যারিকেড সরলে ১০০ মিটার পথ মিছিল করবেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। এরপর লালবাজার পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মিটার পথ যাবেন আন্দোলনকারীদের ২২ জনের প্রতিনিধিদল। বাকিরা ৪০০ মিটার দূরেই অবস্থান করবেন। প্রতীকী মেরুদণ্ড হাতে অপেক্ষারত চিকিৎসকেরা পুলিশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো মিছিল নিয়ে মানববন্ধন করে একশো মিটার পর্যন্ত এগোবে। ব্যারিকেড সরতেই হাতে হাত ধরে এগোতে শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। সামনের সারিতে হাতে হাত ধরে মানববন্ধন করে রেখেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের পিছনে হাতে ফুল নিয়ে ‘আমরা করব জয়’ গেয়ে এগোচ্ছেন আন্দোলনরত ডাক্তারেরা।

   

শুধু তাই নয়, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে ‘তোমার আমার এক স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগান তুলেও লালবাজারের দিকে এগোতে শুরু করেছেন তাঁরা।মানববন্ধন করে একশো মিটার পথ এগিয়ে আপাতত সেখানে অপেক্ষারত অবস্থায় দাঁড়িয়ে স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। এখান থেকে লালবাজারে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করতে গেছেন আন্দোলনকারীদের ২২ জনের প্রতিনিধিদল।

লালবাজার থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বের হলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা। বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, সিপির পদত্যাগের দাবিতে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে তারা। কিন্তু কোনও সদর্থক উত্তর কমিশনারের থেকে পাওয়া যায়নি। তবে এর আগের পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ যে ব্যর্থ তা মেনে নিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। সেইসঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন তাঁর কাজে কোন গাফিলতি নেই।

কিন্তু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যদি মনে করেন তাহলে তাঁকে সরাতে পারেন। বর্তমানে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লালবাজারের সামনে থেকে এখন অবস্থান তুললেও এ আন্দোলন তাঁরা চালিয়ে যাবে।