সম্প্রতি জাভেদ আখতারের (Javed) কলকাতা সফর বাতিল কে কেন্দ্র করে সরব হয়েছিল শিল্পী মহল। এবার এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী এবং চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন। জাভেদের বঙ্গ সফর নিয়ে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। জাভেদ দাবি করেন তিনি নাস্তিক। এই নিয়েই মৌলবাদীরা চোটে গিয়ে উর্দু আকাদেমির জাভেদের অনুষ্ঠান বাতিল করে।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অপর্ণা বলেন আকাদেমির এই সিদ্ধান্ত প্রমান করে তারা উর্দু ভাষাকে শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় ভাষা হিসেবেই চিহ্নিত করতে চান। যা একেবারেই নক্কারজনক। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট ও তাদের রায়ে স্পষ্ট বলেছিল উর্দু কোনও ধর্মীয় ভাষা নয়। তাহলে কলকাতার মৌলবাদীরা কি করে জাভেদকে বয়কট করতে পারে এবং এটা কতটা যুক্তি সম্মত তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী।
এর আগে জনপ্রিয় এবং বিতর্কিত সাহিত্যিক তাসলিমা নাসরিন ও এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছিলেন। দুই বাংলার সাহিত্যে জনপ্রিয় নাম তসলিমা নাসরিন । তবে সাহিত্যের থেকেও ধর্ম সম্পর্কে তার বিতর্কিত মন্তব্য বার বার তাকে লাইমলাইটে নিয়ে এসেছে। তসলিমা যেমন প্রগতিশীল তেমন ই বরাবর স্পষ্ট বক্তা।
মুসলিম ধর্মের কিছু অন্ধকার সামনে আনার দরুন তাকে নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। বাংলাদেশ ছাড়া হতে হয় তাকে। পশ্চিমবঙ্গে এলেও বামপন্থী বা দক্ষিণপন্থী কোনো জমানাতেই তাকে বাংলায় ঠাঁই দেওয়া হয়নি। তিনি বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে রুচিশীল, মুক্তমনা এবং প্রগতিশীল মুসলিমদের কোনো জায়গা নেই। এই অভিযোগ করতে গিয়ে তিনি তিনটি উদাহরণ দিয়েছেন।
যেমন তিনি বলেছেন ১৯৩২ সালে কলকাতার মুসলিম মৌলবাদিরা বেগম রোকেয়ার মৃত্যুর পর তাঁকে কলকাতার কোনও কবরখানায় স্থান দেয়নি। তাঁকে লোকচক্ষুর আড়ালে গঙ্গার ধারে সোদপুরের পানিহাটি গ্রামে কবর দিতে হয়েছিল। বেগম রোকেয়া ছিলেন নারীবাদী লেখক, এবং নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনের পক্ষে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।
টাটা-টয়োটা’র পর এবার Mahindra, জিএসটি কমায় গাড়ি ১.৫৬ লাখ সস্তার ঘোষণা করল
২০০৭ সালে বাংলার টানে প্রাণের টানে কলকাতায় বাস করা প্রগতিশীল মুক্তচিন্তক নির্বাসিত নারীবাদী লেখক তসলিমা নাসরিনকে রাজ্যছাড়া করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার, এবং সরকার পরিবর্তন হলেও তসলিমাকে পশ্চিমবঙ্গে আর প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। ২০১৩ সালে প্রগতিশীল নাস্তিক লেখক সালমান রুশদিকে কলকাতার সাহিত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাধা দেয়।